ঢাকা: ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার ৬ বার বিদ্যুতের দাম
বাড়িয়েছেন। শুধুমাত্র চুরি ও লুটপাট করার জন্যই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো
হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল
ইসলাম মিয়া।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাবে না, যেমনটা এ সরকারের আমলে হয়ে আসছে। তাই এ দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে গণঅভ্যূত্থান ঘটানো হবে।’
এসময় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আ ন হ আখতার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের সমস্যা সমাধানে বাল্ব ট্যারিফ এবং রিটেইল ট্যারিফ বাড়িয়ে তা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার। সরকার এ কাজটি করছে একটি দুষ্ট চক্রের কথা মতো। বিদ্যুতের এ প্রভাবটি সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে।’
আখতার হোসেন এ সময় বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপনাগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ না দিয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত কুইক রেন্টালগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। শুধু তাদের খুশি করার জন্যই তিন বছরের কথা বলেও নিয়মিতভাবে কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে। আর তাদের কথামতো বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার। এছাড়া ২০০৮-১৪ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১শ ৪৩.৮৫ এবং ২শ ৩ শতাংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘সরকারের তিন বছর কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার কথা ছিল ভর্তুকি কমানোর জন্য। আর এ তিন বছরে বৃহৎ আকারে কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না নিয়ে এখানে বারবার কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তি বাড়ানো হচ্ছে যা সমীচীন নয়।’
এদিকে বুয়েটের পানিসম্পদ বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছাব্বির মুস্তফা বলেন, ১ বিলিয়ন টাকা খরচ করে ৩০ বছর মেয়াদী সমুদ্রের ওয়েব এনার্জি ব্যবহার করে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলে তা হবে গ্রীন এনার্জি। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল প্রকল্প আমাদের জন্য খুবই আত্মঘাতী।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আফম ইউসুফ হায়দার, চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, বিএফইজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ।
এদিকে একই সময় বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাবে না, যেমনটা এ সরকারের আমলে হয়ে আসছে। তাই এ দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে গণঅভ্যূত্থান ঘটানো হবে।’
এসময় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আ ন হ আখতার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের সমস্যা সমাধানে বাল্ব ট্যারিফ এবং রিটেইল ট্যারিফ বাড়িয়ে তা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার। সরকার এ কাজটি করছে একটি দুষ্ট চক্রের কথা মতো। বিদ্যুতের এ প্রভাবটি সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে।’
আখতার হোসেন এ সময় বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপনাগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ না দিয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত কুইক রেন্টালগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। শুধু তাদের খুশি করার জন্যই তিন বছরের কথা বলেও নিয়মিতভাবে কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে। আর তাদের কথামতো বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার। এছাড়া ২০০৮-১৪ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১শ ৪৩.৮৫ এবং ২শ ৩ শতাংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘সরকারের তিন বছর কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার কথা ছিল ভর্তুকি কমানোর জন্য। আর এ তিন বছরে বৃহৎ আকারে কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না নিয়ে এখানে বারবার কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তি বাড়ানো হচ্ছে যা সমীচীন নয়।’
এদিকে বুয়েটের পানিসম্পদ বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছাব্বির মুস্তফা বলেন, ১ বিলিয়ন টাকা খরচ করে ৩০ বছর মেয়াদী সমুদ্রের ওয়েব এনার্জি ব্যবহার করে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলে তা হবে গ্রীন এনার্জি। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল প্রকল্প আমাদের জন্য খুবই আত্মঘাতী।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আফম ইউসুফ হায়দার, চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, বিএফইজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ।
এদিকে একই সময় বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়