ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ রক্তসহ
তিনজনক গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশার
নেতৃত্বে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওঁৎ পেতে থেকে র্যাবের একটি দল ঢাকা
ব্লাড ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে একজন মালিক ও
দুজন টেকনিশিয়ান রয়েছেন। অভিযানকালে ৬৪ ব্যাগ অবৈধ রক্ত জব্দ করা হয়।
তারা অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংকের আড়ালে মানুষের জীবন নিয়ে ভয়াবহ এ মারণঘাতী খেলা চালিয়ে আসছিল। নিয়মিতভাবে স্বল্পমূল্যে মাদকসেবীদের কাছ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ রক্ত কিনে অধিক মূল্যে তা বিক্রি করে রোগীদের জীবন বিপন্ন অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছিল তারা। প্রায় চার বছর ধরে তারা এ অবৈধ কাজ করে আসছিল।
শনিবার র্যাবের অভিযানে তারা হাতেনাতে ধরা পড়েন।
আটককৃতদের মধ্যে ওই ব্লাডব্যাংকের তিনজন মালিকের একজন রয়েছেন। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা তাকে ২ বছরের কারদণ্ড দেন। অপর দুজন টেকনিশিয়ান। তাদের একবছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানকালে রক্তদাতা হিসেবে একজন হেরোইনসেবীকে আটক করেছে র্যাব।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল উপ-পরিচালক স্বপন কুমার তপাদার বাংলামেইলকে জানান, এই ব্লাড ব্যাংকে অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল কিছুই নেই। এখানে ভয়ঙ্কর ব্যাপার যে, স্ক্যানিং ছাড়াই ব্লাড কালেকশন এবং রোগীকে ব্লাড দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ব্লাড ডোনারের এইচআইভিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পরীক্ষা ছাড়াই মাদকসেবীদের কাছ থেকে এরা রক্ত সংগ্রহ করে। এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত হলেও কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তারা এ অবৈধ কাজ করে আসছিল। এখানে একজন মালিককে ২ বছরের এবং দুজন টেকনিশিয়ানকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রেজিস্টার খাতার সঙ্গে ব্লাড ব্যাগের সিরিয়ালের কোনো মিল নেই। এক ব্যাগ রক্ত থেকে এরা দুই ব্যাগ রক্ত বানায়। চার বছর ধরে তারা এ কাজটি করে আসছিল।’
এর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু লোকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়টি পরবর্তীতে ধারাবাহিক অনুসন্ধান করবে র্যাব।
মালিক খোকন বলেন, ‘১৩ মাস ধরে আমি এ ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত। আমিসহ তিনজন মালিক রয়েছে। অন্য দুজন মালিক ঢাকা মেডিকেলের কর্মচারী। একজন সরোয়ার, সে ফার্মেসিতে কাজ করে। অন্যজন সিরাজুল ইসলাম বাদল, সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট। এছাড়াও ব্লাডব্যাংকের অপর মালিক আজিজুল হকের এধরনের একাধিক ব্যবসা রয়েছে।’
খোকনের কাছে বাংলামেইল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ২২০ টাকা করে ব্লাড নিই। ১৩শ টাকা করে বিক্রি করি।’
আটক মাদকসেবী মোমিন জানান, পুরান ঢাকার এ এলাকায় দেড়শ থেকে ২শ মাদকসেবী রয়েছে, যারা নিয়মিত ২২০ টাকা করে ব্লাড দেয়।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
তারা অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংকের আড়ালে মানুষের জীবন নিয়ে ভয়াবহ এ মারণঘাতী খেলা চালিয়ে আসছিল। নিয়মিতভাবে স্বল্পমূল্যে মাদকসেবীদের কাছ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ রক্ত কিনে অধিক মূল্যে তা বিক্রি করে রোগীদের জীবন বিপন্ন অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছিল তারা। প্রায় চার বছর ধরে তারা এ অবৈধ কাজ করে আসছিল।
শনিবার র্যাবের অভিযানে তারা হাতেনাতে ধরা পড়েন।
আটককৃতদের মধ্যে ওই ব্লাডব্যাংকের তিনজন মালিকের একজন রয়েছেন। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা তাকে ২ বছরের কারদণ্ড দেন। অপর দুজন টেকনিশিয়ান। তাদের একবছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানকালে রক্তদাতা হিসেবে একজন হেরোইনসেবীকে আটক করেছে র্যাব।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল উপ-পরিচালক স্বপন কুমার তপাদার বাংলামেইলকে জানান, এই ব্লাড ব্যাংকে অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল কিছুই নেই। এখানে ভয়ঙ্কর ব্যাপার যে, স্ক্যানিং ছাড়াই ব্লাড কালেকশন এবং রোগীকে ব্লাড দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ব্লাড ডোনারের এইচআইভিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পরীক্ষা ছাড়াই মাদকসেবীদের কাছ থেকে এরা রক্ত সংগ্রহ করে। এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত হলেও কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তারা এ অবৈধ কাজ করে আসছিল। এখানে একজন মালিককে ২ বছরের এবং দুজন টেকনিশিয়ানকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রেজিস্টার খাতার সঙ্গে ব্লাড ব্যাগের সিরিয়ালের কোনো মিল নেই। এক ব্যাগ রক্ত থেকে এরা দুই ব্যাগ রক্ত বানায়। চার বছর ধরে তারা এ কাজটি করে আসছিল।’
এর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু লোকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়টি পরবর্তীতে ধারাবাহিক অনুসন্ধান করবে র্যাব।
মালিক খোকন বলেন, ‘১৩ মাস ধরে আমি এ ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত। আমিসহ তিনজন মালিক রয়েছে। অন্য দুজন মালিক ঢাকা মেডিকেলের কর্মচারী। একজন সরোয়ার, সে ফার্মেসিতে কাজ করে। অন্যজন সিরাজুল ইসলাম বাদল, সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট। এছাড়াও ব্লাডব্যাংকের অপর মালিক আজিজুল হকের এধরনের একাধিক ব্যবসা রয়েছে।’
খোকনের কাছে বাংলামেইল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ২২০ টাকা করে ব্লাড নিই। ১৩শ টাকা করে বিক্রি করি।’
আটক মাদকসেবী মোমিন জানান, পুরান ঢাকার এ এলাকায় দেড়শ থেকে ২শ মাদকসেবী রয়েছে, যারা নিয়মিত ২২০ টাকা করে ব্লাড দেয়।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়