ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রার্থী
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আবদুল হাই মিলন (আনারস
প্রতীক) তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগে বাধা, তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ও
স্বপরিবারে প্রাণনাশের অব্যাহত হুমকির প্রতিবাদে বুধবার সকালে ফেনীর একটি
রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিদারুল কবির রতন (ঘোড়া প্রতীক) সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। তার কর্মী ও সমর্থকদের মারধর ও নাজেহাল করা হচ্ছে। তার নির্বাচনী ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট যেখানেই পাচ্ছে ছিঁড়ে ফেলছে কিংবা কর্মীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আবদুল হাই মিলন অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির রতন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে তাঁকে স্বপরিবারে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, দলমত নির্বিশেষে এলাকার সবশ্রেণি পেশার মানুষের তার প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছেন। জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ভোটের দিন কেন্দ্রে না যেতে বারণ করা হচ্ছে।
উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এতিমখানা বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর গণসংযোগ চলাকালে গণসংযোগস্থলের পাশে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হয় অভিযোগ করে আবদুল হাই মিলন সাংবাদিকদের জানান, প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে তিনি এলাকায় পা রাখা মাত্রই তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তাকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছেন।
গত ৩ মার্চ মাইজ্জা হুজুর (রঃ) এর মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করা মাত্রই তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর আশীর্বাদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা তার কয়েকজন কর্মীকে বেদম মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে নির্বাচনী প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি যেখানেই গণসংযোগ করতে যাচ্ছেন সেখানেই সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে দাগনভূঞা থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের এবং রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
কোনো বিশেষ প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাত না দেখিয়ে সব প্রার্থীর জন্য গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী সমান সুযোগ-সুবিধা ও সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বিঘœ পরিবেশ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ভোটের আগের দিনই ফেনী ও আশপাশের এলাকার সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে জড়ো করা হবে এবং ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট কেন্দ্র জবরদখল করা হবে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তিনি প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আবদুল হাই মিলন বলেন, আমি সাধ্যমতো এলাকার মানুষের কল্যাণ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লবিং করে কাজ আদায় করেছি বলে বিগত সময়ে এলাকার রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় যে, স্থানীয় উন্নয়ন কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা না থাকলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অনেকটা কষ্টসাধ্য। আর এ বাস্তবতা থেকেই মূলত আমি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি মনে করি, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার উন্নয়নে আরো বেশি নিবিড়ভাবে কাজ করা যাবে।
তিনি বলেন, কোনো ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। সমাজের উন্নয়ন, জনমানুষের কল্যাণ ও তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে জীবন দেব, তবুও নির্বাচন থেকে পিছপা হবো না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট এম শাহজাহান সাজু, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজসহ নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিদারুল কবির রতন (ঘোড়া প্রতীক) সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। তার কর্মী ও সমর্থকদের মারধর ও নাজেহাল করা হচ্ছে। তার নির্বাচনী ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট যেখানেই পাচ্ছে ছিঁড়ে ফেলছে কিংবা কর্মীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আবদুল হাই মিলন অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির রতন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে তাঁকে স্বপরিবারে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, দলমত নির্বিশেষে এলাকার সবশ্রেণি পেশার মানুষের তার প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছেন। জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ভোটের দিন কেন্দ্রে না যেতে বারণ করা হচ্ছে।
উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এতিমখানা বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর গণসংযোগ চলাকালে গণসংযোগস্থলের পাশে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হয় অভিযোগ করে আবদুল হাই মিলন সাংবাদিকদের জানান, প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে তিনি এলাকায় পা রাখা মাত্রই তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তাকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছেন।
গত ৩ মার্চ মাইজ্জা হুজুর (রঃ) এর মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করা মাত্রই তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর আশীর্বাদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা তার কয়েকজন কর্মীকে বেদম মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে নির্বাচনী প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি যেখানেই গণসংযোগ করতে যাচ্ছেন সেখানেই সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে দাগনভূঞা থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের এবং রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
কোনো বিশেষ প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাত না দেখিয়ে সব প্রার্থীর জন্য গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী সমান সুযোগ-সুবিধা ও সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বিঘœ পরিবেশ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ভোটের আগের দিনই ফেনী ও আশপাশের এলাকার সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে জড়ো করা হবে এবং ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট কেন্দ্র জবরদখল করা হবে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তিনি প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আবদুল হাই মিলন বলেন, আমি সাধ্যমতো এলাকার মানুষের কল্যাণ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লবিং করে কাজ আদায় করেছি বলে বিগত সময়ে এলাকার রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় যে, স্থানীয় উন্নয়ন কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা না থাকলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অনেকটা কষ্টসাধ্য। আর এ বাস্তবতা থেকেই মূলত আমি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি মনে করি, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার উন্নয়নে আরো বেশি নিবিড়ভাবে কাজ করা যাবে।
তিনি বলেন, কোনো ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। সমাজের উন্নয়ন, জনমানুষের কল্যাণ ও তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে জীবন দেব, তবুও নির্বাচন থেকে পিছপা হবো না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট এম শাহজাহান সাজু, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজসহ নেতৃবৃন্দ।
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়