Monday, March 3

নয় বছর পর মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম: নয় বছর পর চাঞ্চল্যকর জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুলতান ড্রাইভার প্রকাশ কালা সুলতানকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউসপাড়া থেকে তাকে করা গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের পর তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেন। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তাকে কক্সবাজার থেকে রাতেই চট্টগ্রাম আনা হয়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুলতান ছদ্মবেশে নয় বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

তিনি আরো জানান, ২০০৫ সাল থেকে সুলতান ড্রাইভার পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সে কক্সবাজারে অবস্থান করছিল। ইতিমধ্যে সে আসল নাম ঠিকানা গোপন করে নূরুল ইসলাম, পিতা- মো. রিয়াজ, মাতা- হালিমা খাতুন, সাং- দক্ষিণ মাদার্শা বৌদ্ধর বাড়ি, থানা- হাটহাজারী, চট্টগ্রাম ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে।

২০০৫ সালে সে পালিয়ে কক্সবাজার থাকতে শুরু করে। সেখানে গিয়ে প্রথমে রিক্সা চালাত, এরপর কয়েক বছর সে কাচা তরকারির ব্যবসা করত। গত তিন বছর ধরে হ্যান্ডি রেষ্টুরেন্টে সাত হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। তার স্ত্রী ও সন্তান ফটিকছড়িতে অবস্থান করলেও এলাকার লোকজন জানতো সে বিদেশে অবস্থান করছে।

গ্রেপ্তারের পর সুলতান নিজেকে নূরুল ইসলাম পরিচয় দিলে গোয়েন্দা পুলিশ কিছুটা বিপত্তিতে পরে। পরবর্তীতে ফটিকছড়ি থেকে লোক এনে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় তারা। সুলতান ড্রাইভারের বিরুদ্ধে জামাল উদ্দিন অপহরণ মামলা ছাড়াও ফটিকছড়ি থানায় একটি অস্ত্র মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই নগরীর চকবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁও আবসিকের বাসায় ফেরার পথে অবহৃত হন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। অপরহরণকারীরা তখন তার মুক্তির বিনিময়ে এক কোটি টাকা দাবি করেছিল।

এঘটনায় সিএমপি’র চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। ২০০৬ সালে উক্ত মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। অভিযোগপত্রে কাশেম চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও কাশেম চেয়ারম্যানসহ ৯ জন তখন পলাতক ছিল।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী জামালউদ্দিনকে অপহরণ করে ফটিকছড়িতে নিয়ে গেলে কাঞ্চন নগরের চারা বটতলায় পাহাড়ের ঢাল হতে আসামি কালা মাহাবুব, লম্বা মাহাবুব, সুলতান ও টেংরা ওসমান থেকে গ্রহণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়।

অপহরণের দুই পর ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট ফটিকছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত আছে।
 
বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়