ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শত
কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে নয়, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের
পতন ঘটিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখানো হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আগামী রোবাবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বর্তমান মহাসচিব শওকত মাহমুদ সভাপতি পদে ও মহাসচিব পদে এমএ আজিজ। এবং অপর প্যানেলে গোলাম মহিউদ্দিন খান সভাপতি ও মহাসচিব পদে ডিইজের সাবেক সভাপতি এলাহি নেওয়াজ খান সাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বেলা সোয়া ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ।
আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার পতন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সময়, কাল নির্ধারণ করে আন্দোলন হবে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনে ফলাফল ঠিক করে রেখেছে, শুধু তা ঘোষণা বাকি।’
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা বলেছি শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে চেয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করতে হবে।’
চাপের মধ্যে নির্বাচনে আসতে হয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমন বক্তব্য দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন তার জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমাদেরও চাপ ছিল। আমরা নির্বাচনে যাইনি। কী এমন অপকর্ম করেছেন যে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছেন? অবশ্য তা আমরা জানি। সময়মতো প্রকাশ করা হবে।’
সংসদ থেকে জাতীয় পার্টিকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখনো সময় আছে, নিজেদের চামড়া বাঁচাতে চাইলে সম্মান নিয়ে পদত্যাগ করুন।’
সরকারের সব উপদেষ্টা দুর্নীতিবাজ এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার পাশের সবাই তো দুর্নীতিবাজ। এদের কার চরিত্র কেমন তা আমরা জানি। এদের পরামর্শেই কুইক রেন্টাল হয়েছে।’
টোলনীতি নিয়ে মন্ত্রিসভায় যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে তার কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই টোল নিলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। এসব বন্ধ করুন।’
‘সরকারের এক উপদেষ্টা বলেছিলেন, ট্রানজিট হলে তার ফিস নিতে পারবো না, এটা বেয়াদবি হবে।’ এমন কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাহলে রাস্তাঘাট থেকে সাইকেল থেকে টোল নেয়া কি আদবি? নৌবন্দর ও স্থলবন্দর থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে তার হিসাব দাবি করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘একজনকে বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কী ছিল তা আমরা সবাই জানি। অন্যরা যেখানে পাকিস্তান থেকে এসে যুদ্ধ করেছে। আর তিনি পাকিস্তান থেকে ছুটি কাটিয়ে আবার পাকিস্তানে ফিরে গেছেন।’
আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কয়জন রাজাকার রয়েছে তার হিসাব চেয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘নিজের দলে যে কয়জন রাজকার রয়েছে তার হিসাবে দিন। এর আগে আপনারা যাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন সে তো রাজাকার ছিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধু নামমাত্র বাংলাদেশ। দেশ পরিচালিত হচ্ছে অন্যখান থেকে। বাংলাদেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না। দেশের মানুষ বেকার রেখে বিশেষ একটা দেশের মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানি পাচ্ছি না, সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে তার কোনো প্রতিবাদ নেই।’
বর্তমান সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে মৃত গণতন্ত্র। এই সরকার অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা সাংবাদিকদের টার্গেট করেছে। এ পর্যন্ত ২৩ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এই সরকারের আমলে কোনো পেশার মানুষ নিরাপদ নয়। তাই প্রয়োজন জনগণের সরকার।’ বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি।
বিএনপি উৎপাদন এবং উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মইন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন, এরশাদ, মোশতাকদের আওয়ামী লীগই এনেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময়ে আমরাও অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, গণতন্ত্রের জন্য ৯ বছর সংগ্রাম করেছি। প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার দল আর আওয়ামী লীগ সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযোদ্ধার দল অর্থাৎ শরণার্থী।’
বিএনপির শেকড় অনেক গভীরে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, ওয়ান ইলেভেনে সময় ওপরের কাউকে ভয় বা লোভ দেখিয়ে হয়তো নেয়া গেছে। কিন্তু এই দলের শেকড় অনেক গভীরে। তৃণমুলের শক্তির কারণে বিএনপিকে ভাঙা যায়নি।’
বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার তাগিদ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা বলেছেন বিএনপির সময়ে আমরা দলীয়করণ করিনি কেন? কারণ আমরা দলের সরকার নই, জনগণের সরকার ছিলাম। তবে এবার শিখেছি। আগামীতে আপনাদের জন্য কিছু করবো।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন হয়েছে তারও তীব্র সমালোচনা করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমাকে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বিচারক টেলিফোনে কথা বলে এই চার্জ গঠনের কথা বলেছেন। আমাকে শোনানো হয়নি কী কারণে চার্জ গঠন হলো। আমারও কথা শোনা হয়নি।’
সংগঠনটির সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের শামসুল হক হায়দারী, শাহ নেওয়াজ, খুলনার আনিসুজ্জামান, রাজশাহীর সরদার আব্দুর রহমান, বগুড়ার ফজলে রাব্বী ডলার, কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম মুকুল, যশোরের মহিদুল ইসলাম মন্টু, দিনাজপুরের জিএম হিরু, কুমিল্লার শাহ আলম শফি, কক্সবাজারের আতাহার ইকবাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদরে সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আগামী রোবাবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বর্তমান মহাসচিব শওকত মাহমুদ সভাপতি পদে ও মহাসচিব পদে এমএ আজিজ। এবং অপর প্যানেলে গোলাম মহিউদ্দিন খান সভাপতি ও মহাসচিব পদে ডিইজের সাবেক সভাপতি এলাহি নেওয়াজ খান সাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বেলা সোয়া ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ।
আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার পতন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সময়, কাল নির্ধারণ করে আন্দোলন হবে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনে ফলাফল ঠিক করে রেখেছে, শুধু তা ঘোষণা বাকি।’
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা বলেছি শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে চেয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করতে হবে।’
চাপের মধ্যে নির্বাচনে আসতে হয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমন বক্তব্য দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন তার জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমাদেরও চাপ ছিল। আমরা নির্বাচনে যাইনি। কী এমন অপকর্ম করেছেন যে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছেন? অবশ্য তা আমরা জানি। সময়মতো প্রকাশ করা হবে।’
সংসদ থেকে জাতীয় পার্টিকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখনো সময় আছে, নিজেদের চামড়া বাঁচাতে চাইলে সম্মান নিয়ে পদত্যাগ করুন।’
সরকারের সব উপদেষ্টা দুর্নীতিবাজ এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার পাশের সবাই তো দুর্নীতিবাজ। এদের কার চরিত্র কেমন তা আমরা জানি। এদের পরামর্শেই কুইক রেন্টাল হয়েছে।’
টোলনীতি নিয়ে মন্ত্রিসভায় যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে তার কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই টোল নিলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। এসব বন্ধ করুন।’
‘সরকারের এক উপদেষ্টা বলেছিলেন, ট্রানজিট হলে তার ফিস নিতে পারবো না, এটা বেয়াদবি হবে।’ এমন কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাহলে রাস্তাঘাট থেকে সাইকেল থেকে টোল নেয়া কি আদবি? নৌবন্দর ও স্থলবন্দর থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে তার হিসাব দাবি করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘একজনকে বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কী ছিল তা আমরা সবাই জানি। অন্যরা যেখানে পাকিস্তান থেকে এসে যুদ্ধ করেছে। আর তিনি পাকিস্তান থেকে ছুটি কাটিয়ে আবার পাকিস্তানে ফিরে গেছেন।’
আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কয়জন রাজাকার রয়েছে তার হিসাব চেয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘নিজের দলে যে কয়জন রাজকার রয়েছে তার হিসাবে দিন। এর আগে আপনারা যাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন সে তো রাজাকার ছিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধু নামমাত্র বাংলাদেশ। দেশ পরিচালিত হচ্ছে অন্যখান থেকে। বাংলাদেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না। দেশের মানুষ বেকার রেখে বিশেষ একটা দেশের মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানি পাচ্ছি না, সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে তার কোনো প্রতিবাদ নেই।’
বর্তমান সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে মৃত গণতন্ত্র। এই সরকার অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা সাংবাদিকদের টার্গেট করেছে। এ পর্যন্ত ২৩ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এই সরকারের আমলে কোনো পেশার মানুষ নিরাপদ নয়। তাই প্রয়োজন জনগণের সরকার।’ বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি।
বিএনপি উৎপাদন এবং উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মইন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন, এরশাদ, মোশতাকদের আওয়ামী লীগই এনেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময়ে আমরাও অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, গণতন্ত্রের জন্য ৯ বছর সংগ্রাম করেছি। প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার দল আর আওয়ামী লীগ সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযোদ্ধার দল অর্থাৎ শরণার্থী।’
বিএনপির শেকড় অনেক গভীরে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, ওয়ান ইলেভেনে সময় ওপরের কাউকে ভয় বা লোভ দেখিয়ে হয়তো নেয়া গেছে। কিন্তু এই দলের শেকড় অনেক গভীরে। তৃণমুলের শক্তির কারণে বিএনপিকে ভাঙা যায়নি।’
বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার তাগিদ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা বলেছেন বিএনপির সময়ে আমরা দলীয়করণ করিনি কেন? কারণ আমরা দলের সরকার নই, জনগণের সরকার ছিলাম। তবে এবার শিখেছি। আগামীতে আপনাদের জন্য কিছু করবো।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন হয়েছে তারও তীব্র সমালোচনা করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমাকে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বিচারক টেলিফোনে কথা বলে এই চার্জ গঠনের কথা বলেছেন। আমাকে শোনানো হয়নি কী কারণে চার্জ গঠন হলো। আমারও কথা শোনা হয়নি।’
সংগঠনটির সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের শামসুল হক হায়দারী, শাহ নেওয়াজ, খুলনার আনিসুজ্জামান, রাজশাহীর সরদার আব্দুর রহমান, বগুড়ার ফজলে রাব্বী ডলার, কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম মুকুল, যশোরের মহিদুল ইসলাম মন্টু, দিনাজপুরের জিএম হিরু, কুমিল্লার শাহ আলম শফি, কক্সবাজারের আতাহার ইকবাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদরে সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়