Friday, March 21

ভোটের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় জাতীয় পার্টি

কক্সবাজার: কক্সবাজারে ভোটের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে জাতীয় পার্টি। সংসদের ‘প্রধান বিরোধীদল’ হয়েও পাঁচ উপজেলার কোথাও প্রার্থী দেয়নি নয় বছর দেশ শাসন করা এ পার্টি। দ্বিতীয় ধাপের তিন উপজেলায় দলীয় প্রার্থী দিয়ে জয় তুলতে পারেনি তারা। ভরাডুবির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় প্রার্থী দিতে অনীহা প্রকাশ করছে নেতারা।
দলীয় সূত্র মতে, দ্বিতীয় ধাপে চকরিয়ায় শাহনেওয়াজ চৌধুরী স্বপন মিয়া, মহেশখালীতে উপজেলা সভাপতি নাজিম উদ্দীন ও পেকুয়া উপজেলা সভাপতি দিদারুল আলমকে ডাকঢোল পিটিয়ে দলীয় সমর্থন দেয়া হয়। এছাড়া পেকুয়া ও চকরিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দলীয় সমর্থন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফলাফলে জামানত হারানোর মধ্যে দিয়ে পরাজয় ঘটে সব প্রার্থীর।

দলীয় সমর্থিতদের এ ‘অসম্মানজনক’ পরাজয় জেলায় মাঠ পর্যায়ে অস্তিত্বহীন জাতীয় পার্টিকে আরো তলানিতে নিয়ে গেছে। কেন্দ্রের রোষানলে পড়েন জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে প্রশ্ন দেখা দেয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার চার আসনের মধ্যে চকরিয়া-পেকুয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াছের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটি কক্সবাজারে জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন তলানিতে ঠেকেছে। প্রথমত, মহাজোটে যোগ দেয়া; দ্বিতীয়ত, বহু ডিগবাজি দিয়েও শেষে দশম সংসদের যোগ দেয়ায় দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তার দলের ওপর ক্ষুব্ধ এখানকার মানুষ। একই কারণে আগামীতে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আরো গভীর সঙ্কটে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

এদিকে দলীয় প্রার্থী না থাকায় আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য রামু ও কুতুবদিয়া এবং ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সদর, উখিয়া ও টেকনাফের জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অনেক সিদ্ধান্তে দলের স্থানীয় পর্যায়ে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই বলে দলীয় প্রার্থী না দেয়া কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। প্রার্থী না থাকায় সরকারে থেকেও তাদের নেতৃত্বের কোনো মূল্যায়ন নেই।

প্রার্থী না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তারেক বলেন, ‘কেউ আগ্রহী না থাকায় দলীয় প্রার্থী দেয়া যায়নি।’

দলের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তারেক বলেন, ‘কোনো দল বা প্রার্থীর প্রতি আমাদের সমর্থন নেই। সে কারণে মনে হচ্ছে, আমরা নিষ্ক্রিয়। তবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে। নির্বাচনের পর সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

দলীয় প্রার্থী কোনো ফ্যাক্টর নয় দাবি করে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কবির আহামদ সওদাগর বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরের চেয়ে বর্তমানে জেলায় জাতীয় পার্টির অবস্থান সন্তোষজনক। আমরা দলকে আরো গতিশীল করার জন্য নিয়মিত কাজ করছি।’

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়