ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, ‘দেশে আবারও অগণতান্ত্রিক,
অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার ও নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতেই মধ্যবর্তী নির্বাচন
দাবি করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুশাসনের
জন্য নাগরিক(সুজন)।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এপ্রিল মাসে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে সফর করার কথাও জানিয়েছেন নাসিম।
নাসিম বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে আমরা লক্ষ্য করেছি, টিআইবি ও সুজনসহ কিছু কিছু মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কেন কি কারণে নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না? সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য। তারা আসেনি, নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও করেছে। মাত্র ৩ মাসের মাথায় এসব সংগঠন কেন কি কারণে উৎসাহ দেখাচ্ছে আমাদের কাছে তা পরিষ্কার।’
১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে। গত সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০ দিন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল মাত্র ৮ দিন উপস্থিত ছিল। তখন তাদের বলা উচিত ছিল, কি পার্লামেন্ট ছিল? এখন পার্লামেন্ট শান্ত বলে বলছে, বিরোধী দল নেই। এ ধরণের ধারা কিসের জন্য? এদের উদ্দেশ্য ভালো না। খারাপ।’
‘আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে এরা এধরণের উদ্বেগ দেখায়নি, এখন তাদের এ উদ্বেগ কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে কি না এমন প্রশ্নে রেখে নাসিম বলেন, ‘যখন দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এদের একদিনও দেখিনি কথা বলতে। এখন কথা বলার অর্থ হচ্ছে, তারা অগণতান্ত্রিক সরকার ও নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতে চায়। এরা কাদের ভাষায় কথা বলছে আপনারা বুঝতে পারছেন। বিএনপি-জামায়াতের ভাষা ও তাদের ভাষা এক।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলবো তাদের অর্থের উৎস কোথায় খতিয়ে দেখতে।’
এসব সংগঠনের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘অহেতুক উস্কানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করবেন না। সতর্ক করছি। অনুরোধ করছি।’
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে নাসিম বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে সহিংসতা হবেই। ডিজিটাল ও মিডিয়ার যুগে কারচুপির সুযোগ নেই। হারলে কারচুপি বলবেন, এটা হতে পারে না। যারা সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ববস্থা নেয়া হচ্ছে। সহিংসতা যেখানে হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বিশ্বাস করে না। তবে তারা মাথা ঠাণ্ডা করে উপজেলা নির্বাচনে আসায় তাদের অভিনন্দন।’
এছাড়া দেশে শান্তি বিরাজ করছে বলে ১৪ দলের পক্ষ থেকে সরকারকেও অভিনন্দন জানান তিনি।
১৪ দলের এই সভার শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও গণতন্ত্রি পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম খানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশর সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এপ্রিল মাসে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে সফর করার কথাও জানিয়েছেন নাসিম।
নাসিম বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে আমরা লক্ষ্য করেছি, টিআইবি ও সুজনসহ কিছু কিছু মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কেন কি কারণে নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না? সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য। তারা আসেনি, নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও করেছে। মাত্র ৩ মাসের মাথায় এসব সংগঠন কেন কি কারণে উৎসাহ দেখাচ্ছে আমাদের কাছে তা পরিষ্কার।’
১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে। গত সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০ দিন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল মাত্র ৮ দিন উপস্থিত ছিল। তখন তাদের বলা উচিত ছিল, কি পার্লামেন্ট ছিল? এখন পার্লামেন্ট শান্ত বলে বলছে, বিরোধী দল নেই। এ ধরণের ধারা কিসের জন্য? এদের উদ্দেশ্য ভালো না। খারাপ।’
‘আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে এরা এধরণের উদ্বেগ দেখায়নি, এখন তাদের এ উদ্বেগ কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে কি না এমন প্রশ্নে রেখে নাসিম বলেন, ‘যখন দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এদের একদিনও দেখিনি কথা বলতে। এখন কথা বলার অর্থ হচ্ছে, তারা অগণতান্ত্রিক সরকার ও নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতে চায়। এরা কাদের ভাষায় কথা বলছে আপনারা বুঝতে পারছেন। বিএনপি-জামায়াতের ভাষা ও তাদের ভাষা এক।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলবো তাদের অর্থের উৎস কোথায় খতিয়ে দেখতে।’
এসব সংগঠনের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘অহেতুক উস্কানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করবেন না। সতর্ক করছি। অনুরোধ করছি।’
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে নাসিম বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে সহিংসতা হবেই। ডিজিটাল ও মিডিয়ার যুগে কারচুপির সুযোগ নেই। হারলে কারচুপি বলবেন, এটা হতে পারে না। যারা সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ববস্থা নেয়া হচ্ছে। সহিংসতা যেখানে হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বিশ্বাস করে না। তবে তারা মাথা ঠাণ্ডা করে উপজেলা নির্বাচনে আসায় তাদের অভিনন্দন।’
এছাড়া দেশে শান্তি বিরাজ করছে বলে ১৪ দলের পক্ষ থেকে সরকারকেও অভিনন্দন জানান তিনি।
১৪ দলের এই সভার শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও গণতন্ত্রি পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম খানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশর সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়