ঢাকা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তক এইচএম
এরশাদ নিজে হলেও পরপর দুই দফার নির্বাচনে বিপর্যয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
তারপরও বিপর্যয় ঠেকাতে তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই দলটির। ফলে স্থানীয় সরকার
পরিষদে প্রতিনিধিত্বহীন হতে চলেছে জাতীয় পার্টি।
গত দুই দফায় নির্বাচনে ২১২ টি উপজেলায় জাপার মাত্র ২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় ধাপে আগামী ১৫ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আসন্ন হলেও নেই তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রার্থী, প্রস্তুতি। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় দফায়ও সুবিধা করতে পারছে না এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত এরশাদ ও রওশনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। নির্বাচনেও এ প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
আগামী ১৫ মার্চ তিন পদে ২৪৯টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণাও চলছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতের ব্যানারে প্রার্থীরা ভোটের জন্য ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীরাও তৎপর। কিন্তু থেমে আছে জাতীয় পার্টি। প্রার্থী এককভাবে মাঠে থাকলেও দলের কর্মীরা সঙ্গে নেই।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৭টি উপজেলার মধ্যে ১২ জনকে সমর্থন দিলেও জাতীয় পার্টির একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন-গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোলাম শরিফ রঞ্জু। দলের এ ভরাডুবি দেখে দ্বিতীয় নির্বাচনে জাপা আর কোনো প্রার্থী দেয়নি।
সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ১১৬ টি উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জউপজেলার রাশিদুল ইসলাম। দলের এমন শোচনীয় অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষদূত এইচএম এরশাদ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চরম সাংগঠনিক দূর্বলতা আর স্ত্রী রওশনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে দলের অস্থিরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তৃণমূলের ক্ষোভের কারণে জাতীয় পার্টির ব্যানারে হয়তো কোনো প্রার্থীকেই সরাসরি দলের সমর্থন দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের ফলাফলে স্যার (এরশাদ) নিজেও হতাশ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কিছুটা সিদ্ধান্তহীন থাকায় এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে অনেকেই যে যার অবস্থান থেকে নির্বাচন করছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সমস্যা দূর না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দলের কার্যক্রম হয়তো এভাবেই চলবে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় বলেন, ‘প্রথম দুই দফার ফলাফল খারাপ হওয়ায় তৃতীয় দফা নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই। জেলা পর্যায়ে বলা হয়েছে যে যার মত নির্বাচন করতে।’
দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘চলমান উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় দফায় সরাসরি কাউকে দলের সমর্থন দেয়া হয়নি। জাপার অনেকেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু প্রথম দুই ধাপের চেয়েও তৃতীয় ধাপে ফলাফল আরো খারাপ হতে পারে।’
উল্লেখ্য, চলমান উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ২১৩ টির মধ্যে ২টি মাত্র উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৪ টি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন জাপা সমর্থিত প্রার্থীরা। এমনকি জাপার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের কোনো উপজেলায়ও জিততে পারেননি জাপা প্রার্থীরা। সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুঁড়িগ্রাম ও জয়পুরহাটের কোনো উপজেলাতেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করতে পারেনি। জাতীয় পার্টির চেয়ে এখন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদসহ সব কটি পদে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
গত দুই দফায় নির্বাচনে ২১২ টি উপজেলায় জাপার মাত্র ২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় ধাপে আগামী ১৫ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আসন্ন হলেও নেই তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রার্থী, প্রস্তুতি। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় দফায়ও সুবিধা করতে পারছে না এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত এরশাদ ও রওশনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। নির্বাচনেও এ প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
আগামী ১৫ মার্চ তিন পদে ২৪৯টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণাও চলছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতের ব্যানারে প্রার্থীরা ভোটের জন্য ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীরাও তৎপর। কিন্তু থেমে আছে জাতীয় পার্টি। প্রার্থী এককভাবে মাঠে থাকলেও দলের কর্মীরা সঙ্গে নেই।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৭টি উপজেলার মধ্যে ১২ জনকে সমর্থন দিলেও জাতীয় পার্টির একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন-গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোলাম শরিফ রঞ্জু। দলের এ ভরাডুবি দেখে দ্বিতীয় নির্বাচনে জাপা আর কোনো প্রার্থী দেয়নি।
সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ১১৬ টি উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জউপজেলার রাশিদুল ইসলাম। দলের এমন শোচনীয় অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষদূত এইচএম এরশাদ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চরম সাংগঠনিক দূর্বলতা আর স্ত্রী রওশনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে দলের অস্থিরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তৃণমূলের ক্ষোভের কারণে জাতীয় পার্টির ব্যানারে হয়তো কোনো প্রার্থীকেই সরাসরি দলের সমর্থন দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের ফলাফলে স্যার (এরশাদ) নিজেও হতাশ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কিছুটা সিদ্ধান্তহীন থাকায় এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে অনেকেই যে যার অবস্থান থেকে নির্বাচন করছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সমস্যা দূর না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দলের কার্যক্রম হয়তো এভাবেই চলবে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় বলেন, ‘প্রথম দুই দফার ফলাফল খারাপ হওয়ায় তৃতীয় দফা নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই। জেলা পর্যায়ে বলা হয়েছে যে যার মত নির্বাচন করতে।’
দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘চলমান উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় দফায় সরাসরি কাউকে দলের সমর্থন দেয়া হয়নি। জাপার অনেকেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু প্রথম দুই ধাপের চেয়েও তৃতীয় ধাপে ফলাফল আরো খারাপ হতে পারে।’
উল্লেখ্য, চলমান উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ২১৩ টির মধ্যে ২টি মাত্র উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৪ টি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন জাপা সমর্থিত প্রার্থীরা। এমনকি জাপার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের কোনো উপজেলায়ও জিততে পারেননি জাপা প্রার্থীরা। সর্বশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুঁড়িগ্রাম ও জয়পুরহাটের কোনো উপজেলাতেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করতে পারেনি। জাতীয় পার্টির চেয়ে এখন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদসহ সব কটি পদে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়