ঢাকা: শেফালী বেগম (২৫) পেশায় গৃহিনী। তার স্বামী মো.
খোকন মিয়া। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। গত ১০ মাস এ দম্পতি
স্বপ্ন দেখেছেন ফুটফুটে একটি সন্তানের।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেফালী জন্ম দেয় ফুটফুটে কন্যা সন্তানের। তবে জন্মের পর একদিনও যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকেই কে বা কারা শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেফালী জন্ম দেয় ফুটফুটে কন্যা সন্তানের। তবে জন্মের পর একদিনও যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকেই কে বা কারা শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
জন্মের পর শিশুটির ওজন কম থাকায় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে
শিশু ওয়ার্ডের ইনকিউবেটরে ভর্তির পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক বাবা খোকন মিয়া
তার নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে যান। ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডা. সুপ্রভাত হোসাইন ভর্তি নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও ওষুধ কেনার কথা
জানালে খোকন মিয়া বলেন, ‘আমার কাছে এখন টাকা নেই। আমি বাসা থেকে টাকা এনে
তারপর ভর্তি করাতে পারবো।’
এ সময় সুপ্রভাত হোসাইন বলেন, ‘আপনার আত্মীয় কেউ থাকলে তাকে রেখে যান।’
জবাবে খোকন মিয়া বলেন, এখানে আমার কোনো আত্মীয় নেই। বাচ্চার মা ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি। আপনার কেউ একটু বাচ্চাটাকে দেখে রাখলে আমি টাকা নিয়ে আসতে পারি।
খোকন মিয়া দাবি করছেন, এ কথা বলার পর ডা. সুপ্রভাত হোসাইন তাকে বলেন, ‘ঠিক আছে যান। তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।’ এরপর খোকন মিয়া বাসায় চলে যান। বাসায় যাওয়ার পর তিনি বাচ্চা খালা মমতাজ বেগমকে টাকা ও ওষুধসহ পাঠিয়ে দেন।
মমতাজ বেগম হাসপাতালে এসে শিশু বিভাগে বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, সেখানে খোকন মিয়া নামে কারো বাচ্চা নেই। এরপর থেকে বাচ্চাটির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার হাসপাতালের পরিচালককে পাওয়া না যাওয়ায় এ নিয়ে কোনো অভিযোগও করতে পারেননি খোকন মিয়া। শনিবার তিনি পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক ব্রি. জে মোস্তাফিজুর রহমান জানান,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি শাহবাগ থানায়ও খবর দেয়া হয়েছে।
এদিকে ডা. সুপ্রভাত হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খোকন মিয়া যাওয়ার সময় বাচ্চার খালাকে দেখিয়ে যান। এ কারণে আমরা বাচ্চাটির প্রতি খেয়াল রাখিনি। এছাড়া সকাল আটটায় আমার ডিউটি শেষ হয়। পরবর্তীতে যে চিকিৎসক দায়িত্বে ছিলেন তিনি জানতে পারেন বিষয়টি নিয়ে।’
শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, বাচ্চাটিকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়নি। যদি ভর্তি করা হতো তবে আমাদের দায়িত্বে থাকতো। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
এ সময় সুপ্রভাত হোসাইন বলেন, ‘আপনার আত্মীয় কেউ থাকলে তাকে রেখে যান।’
জবাবে খোকন মিয়া বলেন, এখানে আমার কোনো আত্মীয় নেই। বাচ্চার মা ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি। আপনার কেউ একটু বাচ্চাটাকে দেখে রাখলে আমি টাকা নিয়ে আসতে পারি।
খোকন মিয়া দাবি করছেন, এ কথা বলার পর ডা. সুপ্রভাত হোসাইন তাকে বলেন, ‘ঠিক আছে যান। তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।’ এরপর খোকন মিয়া বাসায় চলে যান। বাসায় যাওয়ার পর তিনি বাচ্চা খালা মমতাজ বেগমকে টাকা ও ওষুধসহ পাঠিয়ে দেন।
মমতাজ বেগম হাসপাতালে এসে শিশু বিভাগে বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, সেখানে খোকন মিয়া নামে কারো বাচ্চা নেই। এরপর থেকে বাচ্চাটির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার হাসপাতালের পরিচালককে পাওয়া না যাওয়ায় এ নিয়ে কোনো অভিযোগও করতে পারেননি খোকন মিয়া। শনিবার তিনি পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক ব্রি. জে মোস্তাফিজুর রহমান জানান,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি শাহবাগ থানায়ও খবর দেয়া হয়েছে।
এদিকে ডা. সুপ্রভাত হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খোকন মিয়া যাওয়ার সময় বাচ্চার খালাকে দেখিয়ে যান। এ কারণে আমরা বাচ্চাটির প্রতি খেয়াল রাখিনি। এছাড়া সকাল আটটায় আমার ডিউটি শেষ হয়। পরবর্তীতে যে চিকিৎসক দায়িত্বে ছিলেন তিনি জানতে পারেন বিষয়টি নিয়ে।’
শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, বাচ্চাটিকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়নি। যদি ভর্তি করা হতো তবে আমাদের দায়িত্বে থাকতো। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়