Saturday, March 8

কানাইঘাটে মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও বিজিবি কমান্ডারের তদবীর ব্যর্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আটককৃতের নাম আব্দুল মতিন (৪৫)।- সে গোরকপুর গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর পুত্র। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে ধৃত আব্দুল মতিন মাদক দ্রব্যের ব্যবসা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে কানাইঘাট থানার এস.আই শামসুল এবং এস.আই মস্তফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল মতিনের ঘরের খাটের নিচ থেকে ৪৮বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ উদ্ধার করে এবং তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।  শনিবার উক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির শুরু করেন ১নং লক্ষীপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী। এক পর্যায়ে তিনি ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুর আখতারকে থানায় নিয়ে এসে তদবির শুরু করেন। বিজিবির ঐ কর্মকর্তা পুলিশকে জানান, ধৃত আব্দুল মতিন তাদের সোর্স। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য কে বা কারা তার ঘরে উল্লেখিত মদের বোতল রেখেছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল মতিন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন থেকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। জনপ্রতিনিধি, বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার এবং স্থানীয় লোকজনের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে একপর্যায়ে ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বিব্রত হয়ে পড়েন। এদিকে আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও পুলিশ সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সিলেটের পুলিশ সুপার কানাইঘাট থানায় উপস্থিত হলে তিনি ধৃত আব্দুল মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে একপর্যায়ে সে উদ্ধারকৃত ৪৮ বোতল অফিসার চয়েস মদ তার নিজের বলে অকপটে স্বীকার করে। সে আরো জানায়, এগুলো বিভিন্ন স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে তার ঘরে মজুদ করে রেখেছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- (০৭), তাং- ৮-৩-১৪ইং।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়