নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্কুলে যাওয়া আসার সময় এক বখাটের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কানাইঘাট দুর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ১৬ বছরের জনৈক এক ছাত্রীকে বখাটে ও তার সহযোগীরা কর্তৃক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ৬দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার এজাহারে জানা যায়, বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামের গ্রামের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ধর্ষিতা ঐ ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়ার আসার সময় প্রায়ই উত্যক্ত করে প্রেম নিবেদন ও কু প্রস্তাব দিত বড়বন্দ ১ম খন্ড (কাঠলতলা) গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র বখাটে দুলাল আহমদ (২৫)। ছাত্রীর পরিবার থেকে দুলালের পরিবারের কাছে এ ব্যাপারে বিচার প্রার্থী হলেও কোন প্রতিকার হয় নি। উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বখাটে দুলাল ও তার সহযোগী বড়বন্দ ৩য় খন্ড গ্রামের মকু মিয়ার পুত্র জামাল উদ্দিন (২২), রায়পুর গ্রামের ফোরস্ট্রোক চালক বুলবুল আহমদ (৩৫), বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামের মৃত ছওয়াব আলীর পুত্র আব্দুর রহমান (৩০), নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫টার সময় স্কুল থেকে কোচিং শেষ বাড়ী ফেরার পথে ঐ ছাত্রীকে বড়বন্দ পাকা রাস্তার কমিউনিটি কিনিকের সামনে থেকে অপহরণ করে একটি (সিএনজি)তে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বখাটে দুলাল তার বাড়ীর একটি ঘরে ৬দিন আটক রেখে ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গত ১লা মার্চ অনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে কৌশলে বন্ধ ঘর থেকে মুক্ত হয়ে ছাত্রীটি তার নিজ বাড়ীতে গিয়ে তার উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি আত্মীয়-স্বজন কে জানায়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী সহ এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিয়ানকে মেয়েটির পরিবার থেকে বিষয়টি জানিয়ে গত ৫ মার্চ থানায় নির্যাতিত মেয়েটি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বখাটে দুলাল ও তার অপর ৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-(৪) তারিখ- ৫-৩-১৪ইং। বর্তমানে ভিকটিম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানিয়েছেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
প্রতিদিনের কানাইঘাট
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়