ঢাকা: বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের অনেককেই গাছ চোর বলা হয়।
তাই গাছ চোর উপাধি থেকে সংশ্লিষ্টদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও
বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
২১ মার্চ বিশ্ব বনদিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ ও বন উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব লিখিত বক্তব্যে জানান, দেশের আয়তনের প্রায় ১৭.৬২ শতাংশ বনভূমি এবং এর ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃক্ষাচ্ছাদিত।
তিনি বলেন, ‘বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বনবিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় বনবিভাগ ৪০ হাজার ৮৮৬ হেক্টর উডলট বাগান, ১০ হাজার ৪৯৮ হেক্টর কৃষি বন বাগান ও ৬১ হাজার ৩৮ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন করে ৫ লাখ উপকারভোগীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৪ টাকা লভ্যাংশ হিসাবে বণ্টন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, সারা দেশে বৃক্ষমেলার আয়োজন ও ১৬টি ক্যাটাগরিতে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রদান ও বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন প্রদান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের ১৭টি উদ্যান, ২০টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ১০টি ইকো-পার্ক, ২টি সাফারি পার্ক, ২টি জাতীয় উদ্যান ঘোষণা ও ১৮টি এলাকায় সহব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
১৭ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের অ্যানার্জি ক্রাইসিস রয়েছে। আমরা অনেক কিছু করেছি আবার কিছুই করিনি। আমাদের সার্বিক কাজে গাছ কাটা কোনো অন্যায় বা অপরাধ নয় যদি আমরা আবার গাছ রোপণ করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে কিছুই হতো না। এখন বরেন্দ্র ভূমিসহ প্রায় সব স্থানেই ধানের সঙ্গে গাছও লাগানো হচ্ছে। আমাদের একটা বদনাম আছে, গাছ চোর উপাধি। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে বিশ্ব বন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি আগারগাঁওয়ের বনভবনে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রধান বন সংক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ফাওর বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাইক রবসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর নিক বেরেসফোর্ড, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
২১ মার্চ বিশ্ব বনদিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ ও বন উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব লিখিত বক্তব্যে জানান, দেশের আয়তনের প্রায় ১৭.৬২ শতাংশ বনভূমি এবং এর ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃক্ষাচ্ছাদিত।
তিনি বলেন, ‘বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বনবিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় বনবিভাগ ৪০ হাজার ৮৮৬ হেক্টর উডলট বাগান, ১০ হাজার ৪৯৮ হেক্টর কৃষি বন বাগান ও ৬১ হাজার ৩৮ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন করে ৫ লাখ উপকারভোগীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৪ টাকা লভ্যাংশ হিসাবে বণ্টন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, সারা দেশে বৃক্ষমেলার আয়োজন ও ১৬টি ক্যাটাগরিতে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রদান ও বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন প্রদান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের ১৭টি উদ্যান, ২০টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ১০টি ইকো-পার্ক, ২টি সাফারি পার্ক, ২টি জাতীয় উদ্যান ঘোষণা ও ১৮টি এলাকায় সহব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
১৭ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের অ্যানার্জি ক্রাইসিস রয়েছে। আমরা অনেক কিছু করেছি আবার কিছুই করিনি। আমাদের সার্বিক কাজে গাছ কাটা কোনো অন্যায় বা অপরাধ নয় যদি আমরা আবার গাছ রোপণ করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে কিছুই হতো না। এখন বরেন্দ্র ভূমিসহ প্রায় সব স্থানেই ধানের সঙ্গে গাছও লাগানো হচ্ছে। আমাদের একটা বদনাম আছে, গাছ চোর উপাধি। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে বিশ্ব বন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি আগারগাঁওয়ের বনভবনে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রধান বন সংক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ফাওর বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাইক রবসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর নিক বেরেসফোর্ড, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়