ঢাকা
: ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আশ্বাস দিয়েছেন ত্রিপুরা থেকে
বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ো হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে মিয়ানমারের রাজধানী নে পি দ তে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এ আশ্বাস দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল জানান।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন শেষে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন দুই নেতা। বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সরকার প্রধানের সঙ্গে এটাই শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাত।
বৈঠকের পর মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতা বাড়াতে অনুরোধ করেন।
বিশেষ করে ত্রিপুরা থেকে একশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের সঞ্চালন লাইনে যুক্ত করার জন্য মনমোহন সিংকে অনুরোধ জানান তিনি। মনমোহন সিং আশ্বাস দিয়ে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ বিক্রি করছে।
এজন্য গত বছর দুই দেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়। ভারত থেকে বাংলাদেশের গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বসানো হয় দুটি সুইচিং স্টেশন। গত বছর ৫ অক্টোবর বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে দুই দেশের সরকার।
এছাড়া ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার পালটানায় স্থাপিত ৭০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অন্তত ১০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশে বিক্রির জন্য রাজ্য সরকার আগ্রহ দেখালেও নয়া-দিল্লির সবুজ সংকেত না পাওয়ায় বিষয়টি আটকে আছে।
পালটানায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভারতের পশ্চিম অংশ থেকে ভারি যন্ত্রপাতি পূর্ব অংশে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের ওপর দিয়েই। আশুগঞ্জে ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর মধ্য দিয়ে ভারতকে সেই সুযোগ দেয় বাংলাদেশ। মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, বাংলাদেশকে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্নক্ষেত্রে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান- এই চার দেশ আঞ্চলিক উদ্যোগে জলবিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ উদ্যোগ এই অঞ্চলের অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে।
দুই দেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, স্থলসীমা প্রটোকল ভারতের লোকসভায় উত্থাপন করায় মনমোহন সিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই প্রটোকল বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের বিল শিগগিরই ভারতের পার্লামেন্টে পাস হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং ২০১১ সালে সই হওয়া প্রটোকল বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। ওই চুক্তির আওতায় ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মোট সাত হাজার ১১০ একর আয়তনের ৫১টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের মোট ১৭ হাজার ১৬০ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল বিনিময়ের কথা রয়েছে।
২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ওই প্রটোকলের পাশাপাশি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তা আটকে যায়।
শাকিল জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে অভিনন্দন জানান।
দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই গণতন্ত্রের অব্যাহত ধারার চর্চার মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হতে পারে।
বিশেষ সহকারী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও সন্ত্রাসকে এ অঞ্চলের ‘অভিন্ন শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং এর বিরুদ্ধে ‘ঐক্যবদ্ধভাবে’ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলকে সন্ত্রাসবাদমুক্ত একটি অঞ্চল হিসাবে দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই’।
অন্যদের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন ও পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিরয়ার আলম, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়া উদ্দিন ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
মঙ্গলবার দুপুরে মিয়ানমারের রাজধানী নে পি দ তে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এ আশ্বাস দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল জানান।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন শেষে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন দুই নেতা। বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সরকার প্রধানের সঙ্গে এটাই শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাত।
বৈঠকের পর মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতা বাড়াতে অনুরোধ করেন।
বিশেষ করে ত্রিপুরা থেকে একশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের সঞ্চালন লাইনে যুক্ত করার জন্য মনমোহন সিংকে অনুরোধ জানান তিনি। মনমোহন সিং আশ্বাস দিয়ে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ বিক্রি করছে।
এজন্য গত বছর দুই দেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়। ভারত থেকে বাংলাদেশের গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বসানো হয় দুটি সুইচিং স্টেশন। গত বছর ৫ অক্টোবর বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে দুই দেশের সরকার।
এছাড়া ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার পালটানায় স্থাপিত ৭০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অন্তত ১০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশে বিক্রির জন্য রাজ্য সরকার আগ্রহ দেখালেও নয়া-দিল্লির সবুজ সংকেত না পাওয়ায় বিষয়টি আটকে আছে।
পালটানায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভারতের পশ্চিম অংশ থেকে ভারি যন্ত্রপাতি পূর্ব অংশে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের ওপর দিয়েই। আশুগঞ্জে ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর মধ্য দিয়ে ভারতকে সেই সুযোগ দেয় বাংলাদেশ। মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, বাংলাদেশকে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্নক্ষেত্রে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান- এই চার দেশ আঞ্চলিক উদ্যোগে জলবিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ উদ্যোগ এই অঞ্চলের অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে।
দুই দেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, স্থলসীমা প্রটোকল ভারতের লোকসভায় উত্থাপন করায় মনমোহন সিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই প্রটোকল বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের বিল শিগগিরই ভারতের পার্লামেন্টে পাস হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং ২০১১ সালে সই হওয়া প্রটোকল বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। ওই চুক্তির আওতায় ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মোট সাত হাজার ১১০ একর আয়তনের ৫১টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের মোট ১৭ হাজার ১৬০ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল বিনিময়ের কথা রয়েছে।
২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ওই প্রটোকলের পাশাপাশি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তা আটকে যায়।
শাকিল জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে অভিনন্দন জানান।
দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই গণতন্ত্রের অব্যাহত ধারার চর্চার মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হতে পারে।
বিশেষ সহকারী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও সন্ত্রাসকে এ অঞ্চলের ‘অভিন্ন শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং এর বিরুদ্ধে ‘ঐক্যবদ্ধভাবে’ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলকে সন্ত্রাসবাদমুক্ত একটি অঞ্চল হিসাবে দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই’।
অন্যদের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন ও পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিরয়ার আলম, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়া উদ্দিন ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়