নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীকাল রবিবার কানাইঘাট উপজেলার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচারনায় ঢেউ লেগেছিল গোটা উপজেলার গ্রামে গঞ্জে। কে বিজয়ী হবে এ নিয়ে চলছে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা । উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে ঘোরে ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখি লড়াই হবে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তাদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দুটি দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী এলাকায় এসে সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখায় সর্বত্র জাতীয় নির্বাচনের আবহ তৈরি হয়েছিল। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আল-মিজান (ঘোড়া), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি নেতা আশিক উদ্দিন চৌধুরী (মোটর সাইকেল), জাপা সমর্থিত মোঃ শাহাব উদ্দিন (দোয়াত-কলম) ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে আব্দুর রহিম (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কানাইঘাট উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭শ ৮০ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা-৬৭টি। নির্বাচনে ৭১ হাজার ১শ ১৪ জন পুরুষ ও ৭৫ হাজার ৬শ ৬৬ জন মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আওয়ামীলীগ, ১৯ দল এবং জাপার সমর্থকরা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী। জামাত শিবিরের একাংশের নেতা কর্মী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহিমের সমর্থকরা বলেন, তাদের প্রার্থী চমক দেখাতে পারেন। তবে ধর্মীয় অধ্যুষিত এ উপজেলায় ডানপন্থি ভোটারের সংখ্যা বেশি। ১৯দলীয় সমর্থিত প্রার্থী বিএনপি নেতা আশিক চৌধুরীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিএনপি ও জোটের শরীক দল জমিয়ত, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা নিবাচনী মাঠে কাজ করছেন। সরকার বিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ১৯ দলের নেতাকর্মীরা ধর্মীয় প্রচারণা চালিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টায় রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই হলেন আশিক চৌধূরী। একবার (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আশিক চৌধূরী ভোটারদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। তার আলাদা ব্যক্তি ইমেজও রয়েছে। জামায়াতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামায় তিনি ভোটের অংকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। অপর দিকে আওমীলীগ সমর্থিত নিজাম উদ্দিন আল-মিজান কিন ইমেজের অধিকারী। বিগত উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিকটতম প্রার্থী ছিলেন তিনি। এলাকায় তার যথেষ্ট দান-খয়রাত রয়েছে। আ’লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাকে বিজয়ী করার জন্য ভোটারদের কাছে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। ১৯ দল সমর্থিত ও জামায়াতের বহি®কৃত প্রার্থীর মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হলে নিজাম উদ্দিন জয় ঘরে তুলতে পারেন। তবে আ’লীগের একটি অংশের নেতা কর্মীরা নিজাম উদ্দিনের বিপক্ষে গোপনে কাজ করছে। জাপা সমর্থিত প্রার্থী শাহাব উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ে তুখোঁড় ছাত্রনেতা ছিলেন। কানাইঘাটের বিভিন্ন উন্নয়নের পিছনে তার প্রচুর অবদান রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন প্রতিদিন নিবাচর্নী এলাকায় নানা উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি তুলে ধরে শাহাব উদ্দিনকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে শাহাব উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৬ হাজারের অধিক ভোট পান। এবার জাপা সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সমীকরণ ও আঞ্চলিকতার টানে ভোটের লড়াইয়ে তিনি জয় লাভ করতে পারেন। এমনও ধারনা আছে ভোটারদের মধ্যে। নাগরিক কমিটির ব্যানারে আব্দুর রহিম আনারস প্রতীক নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভোট পেতে পারেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা বদরুজ্জামান ইকবাল (টিয়া পাখি), আ’লীগ সমর্থিত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম রানা (মাইক) ও জমিয়ত নেতা মাওঃ আলিম উদ্দিন (চশমা) প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হবে। যে কেউ বিজয়ী হতে পারেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানী দাস (হাঁস), রুবি রানী চন্দ (কলস) ও জামায়াত সমর্থিত মরিয়ম বেগমের (পদ্ম ফুল) প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
আগামীকাল রবিবার কানাইঘাট উপজেলার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচারনায় ঢেউ লেগেছিল গোটা উপজেলার গ্রামে গঞ্জে। কে বিজয়ী হবে এ নিয়ে চলছে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা । উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে ঘোরে ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখি লড়াই হবে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তাদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দুটি দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী এলাকায় এসে সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখায় সর্বত্র জাতীয় নির্বাচনের আবহ তৈরি হয়েছিল। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আল-মিজান (ঘোড়া), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি নেতা আশিক উদ্দিন চৌধুরী (মোটর সাইকেল), জাপা সমর্থিত মোঃ শাহাব উদ্দিন (দোয়াত-কলম) ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে আব্দুর রহিম (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কানাইঘাট উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭শ ৮০ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা-৬৭টি। নির্বাচনে ৭১ হাজার ১শ ১৪ জন পুরুষ ও ৭৫ হাজার ৬শ ৬৬ জন মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আওয়ামীলীগ, ১৯ দল এবং জাপার সমর্থকরা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী। জামাত শিবিরের একাংশের নেতা কর্মী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহিমের সমর্থকরা বলেন, তাদের প্রার্থী চমক দেখাতে পারেন। তবে ধর্মীয় অধ্যুষিত এ উপজেলায় ডানপন্থি ভোটারের সংখ্যা বেশি। ১৯দলীয় সমর্থিত প্রার্থী বিএনপি নেতা আশিক চৌধুরীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিএনপি ও জোটের শরীক দল জমিয়ত, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা নিবাচনী মাঠে কাজ করছেন। সরকার বিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ১৯ দলের নেতাকর্মীরা ধর্মীয় প্রচারণা চালিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টায় রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই হলেন আশিক চৌধূরী। একবার (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আশিক চৌধূরী ভোটারদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। তার আলাদা ব্যক্তি ইমেজও রয়েছে। জামায়াতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামায় তিনি ভোটের অংকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। অপর দিকে আওমীলীগ সমর্থিত নিজাম উদ্দিন আল-মিজান কিন ইমেজের অধিকারী। বিগত উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিকটতম প্রার্থী ছিলেন তিনি। এলাকায় তার যথেষ্ট দান-খয়রাত রয়েছে। আ’লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাকে বিজয়ী করার জন্য ভোটারদের কাছে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। ১৯ দল সমর্থিত ও জামায়াতের বহি®কৃত প্রার্থীর মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হলে নিজাম উদ্দিন জয় ঘরে তুলতে পারেন। তবে আ’লীগের একটি অংশের নেতা কর্মীরা নিজাম উদ্দিনের বিপক্ষে গোপনে কাজ করছে। জাপা সমর্থিত প্রার্থী শাহাব উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ে তুখোঁড় ছাত্রনেতা ছিলেন। কানাইঘাটের বিভিন্ন উন্নয়নের পিছনে তার প্রচুর অবদান রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন প্রতিদিন নিবাচর্নী এলাকায় নানা উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি তুলে ধরে শাহাব উদ্দিনকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে শাহাব উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৬ হাজারের অধিক ভোট পান। এবার জাপা সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সমীকরণ ও আঞ্চলিকতার টানে ভোটের লড়াইয়ে তিনি জয় লাভ করতে পারেন। এমনও ধারনা আছে ভোটারদের মধ্যে। নাগরিক কমিটির ব্যানারে আব্দুর রহিম আনারস প্রতীক নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভোট পেতে পারেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা বদরুজ্জামান ইকবাল (টিয়া পাখি), আ’লীগ সমর্থিত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম রানা (মাইক) ও জমিয়ত নেতা মাওঃ আলিম উদ্দিন (চশমা) প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হবে। যে কেউ বিজয়ী হতে পারেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানী দাস (হাঁস), রুবি রানী চন্দ (কলস) ও জামায়াত সমর্থিত মরিয়ম বেগমের (পদ্ম ফুল) প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়