ঢাকা: এসিড নিক্ষেপ একটি গুরুতর অপরাধ। এ ঘটনা আমাদের
সবাইকে মর্মাহত করে। ২০১৪ সালেও এসিড নিক্ষেপের বর্বরচিত ঘটনা থেমে নেই।
শিক্ষা সমাজকে আধুনিক করেছে বলে দাবি করলেও, আধুনিক সমাজে যারা এসিড
সন্ত্রাসের শিকার তারা আজ সমাজে বিভিন্নভাবে অবহেলায় মানবেতর জীবন যাপন
করছে। সরকার ও সমাজ কোনটিই তাদের পাশে নেই। অথচ এ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তরা
রাজনৈতিক প্রভাবে সমাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অগ্রগতির মূলকথা, নারী-পুরুষ সমতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক মাববন্ধনে এসিড
সহিংসতার শিকার নারীরা এবং এএসএফের নেতৃবৃন্দ এমনটাই অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে এএসএফ জানায়, সরকারী হিসেব অনুযায়ী এসিড সন্ত্রাসের ঘটনায় ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১৮শ ৯১টি মামলায় ৪ হাজার ৯২৬ জন অভিযুক্তদের মধ্যে মাত্র ৫৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ২শ ৯৩ জনের। এর মধ্যে পুলিশ এ যাবত ১৮শ ২৮টি মামলার অভিযোগ পত্র এবং ৭৫৩ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। অন্যদিকে ৫১০টি মামলায় খালাস পেয়েছে ১৬শ ৮৭ জন। সাজা হয়েছে এমন মামলার সংখ্যা ১৭২টি। এসব মামলার ৮৮ শতাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। মাত্র ১২ শতাংশ গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসএফের তথ্য মতে, ৯৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৪টি এসিড সহিংসতার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫১২জন। যার মধ্যে ১৭শ ৯২ জন নারী ও ৮শ ৬৫ জন পুরুষ এবং ৮শ ৪৫ জন শিশুও রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, এসিড সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, এসিড আক্রান্ত মামলার বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসিড ক্রয় ও বিক্রয়কারীদের সঠিক তালিকা সংরক্ষণ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অভিযুক্ত আসামিরা যাতে জামিন না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ, বোর্ড মেম্বার জাকিয়া কে হাসান, ম্যানেজার ফাতেমা পারভীন পুতুল, এসিড আক্রান্ত নুসরাত জাহান সুইটি, শিমু প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অগ্রগতির মূলকথা, নারী-পুরুষ সমতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক মাববন্ধনে এসিড
সহিংসতার শিকার নারীরা এবং এএসএফের নেতৃবৃন্দ এমনটাই অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে এএসএফ জানায়, সরকারী হিসেব অনুযায়ী এসিড সন্ত্রাসের ঘটনায় ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১৮শ ৯১টি মামলায় ৪ হাজার ৯২৬ জন অভিযুক্তদের মধ্যে মাত্র ৫৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ২শ ৯৩ জনের। এর মধ্যে পুলিশ এ যাবত ১৮শ ২৮টি মামলার অভিযোগ পত্র এবং ৭৫৩ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। অন্যদিকে ৫১০টি মামলায় খালাস পেয়েছে ১৬শ ৮৭ জন। সাজা হয়েছে এমন মামলার সংখ্যা ১৭২টি। এসব মামলার ৮৮ শতাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। মাত্র ১২ শতাংশ গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসএফের তথ্য মতে, ৯৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৪টি এসিড সহিংসতার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫১২জন। যার মধ্যে ১৭শ ৯২ জন নারী ও ৮শ ৬৫ জন পুরুষ এবং ৮শ ৪৫ জন শিশুও রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, এসিড সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, এসিড আক্রান্ত মামলার বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসিড ক্রয় ও বিক্রয়কারীদের সঠিক তালিকা সংরক্ষণ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অভিযুক্ত আসামিরা যাতে জামিন না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ, বোর্ড মেম্বার জাকিয়া কে হাসান, ম্যানেজার ফাতেমা পারভীন পুতুল, এসিড আক্রান্ত নুসরাত জাহান সুইটি, শিমু প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়