Sunday, March 9

চুরিতে সোনালী ব্যাংকের উন্নতি হয়েছে!

ঢাকা: হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও সোনালী ব্যাংকের সুরঙ্গ কেটে টাকা চুরিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেছেন, ‘হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংকে সুড়ঙ্গ কেটে চুরি ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করেছে।’

রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুই কারণে সোনালী ব্যাংকের উন্নতি হয়েছে। এক হচ্ছে হলমার্ক চুরি এবং অপরটি সোনালী ব্যাংকের সুড়ঙ্গপথ চুরি।’

হলমার্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের জিএম নিজ ক্ষমতায় দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার যে সুযোগ পেতেন তা এখন আর সম্ভব নয়। এর মানে ব্যাংকটির উন্নতি হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে উন্নতির জন্য আরো ১৫ বছর সময় লাগবে।’  
মুহিত বলেন, ‘হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও কিশোরগঞ্জের ঘটনা এ দুটি কারণে সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। হলমার্কের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া এখন কষ্টকর। তবে সোনালী ব্যাংকের শাখা অনেক। সবগুলো শাখা এত অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত করা সম্ভব নয়। এর জন্য আরো সময় লাগবে।’
সোনালি ব্যাংকের মতো এসব ঘটনা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের বোর্ডের পদক্ষেপের ফলে সোনালী ব্যাংকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আর গুপ্তপথের বিষয়েও অনেক পদক্ষেপ রয়েছে তার জন্য সময় লাগবে।’

চুরি ও ঋণজালিয়াতি বন্ধে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আবার এর একটি অন্যদিকও আছে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যখন কারো ক্ষমতা কমিয়ে আনা হয়, তখন কাজের গতিও ধীর হয়ে যায়। আমরা দেশের ব্যাংকিং খাতের চরিত্রগত উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তবে সার্বিক উন্নতির জন্য ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চরিত্রগত পরিবর্তনের জন্য ২টি দিক রয়েছে। এর একটি হচ্ছে ব্যক্তির নৈতিক উন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি। এক সময় বলা হতো, সরকারি চাকরিজীবীদের বেশি বেতন দিতে হয় না। আমরা এখন এটা বিশ্বাস করি না। আমরা তাদের বেতন ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছি। আগামীতে আরো ৬২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।’
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ ও বগুড়ার আদমদীঘি শাখা সোনালী ব্যাংকে দু’দফা সুড়ঙ্গ কেটে টাকা লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার মাটির নিচে সুড়ঙ্গ কেটে ভল্ট থেকে প্রায় ১৬ কোটি ৪০ লাখ এবং ৮ মার্চ ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৪ টাকা লুট করা হয়।

এছাড়া ২০১২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় হলমার্ক গ্রুপ।

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়