মহম্মদপুর (মাগুরা) : ‘সাবধানে যাইও-টাইনো গুণ জোরে, নৌকায় আছি বইসে-শক্ত
হাল ধইরে’ এ রকম নানান কথামালার ছন্দে-মনের আনন্দে নদীর তীর ধরে গুণ টেনে
নৌকা নিয়ে যাওয়া হতো উজানে। গুণ টেনে নৌকা উজানে পাড়ি জামনোর দৃশ্য একটা
সময় হরহামেশায় চোখে পড়তো। কিন্তু কালের বিবর্তণে আগেকার বৈচিত্রময় সেসব
দৃশ্য এখন অতীত হয়ে গেছে। বাওলা বাসাতে ভাটিয়াটি গানের সুরে নদীর তীর ধরে
সারিবদ্ধভাবে গুণ টেনে নেয়া নৌকার দৃশ্য বিলুপ্ত হতে চলেছে।
মাগুরার মহম্মদপুরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীতে এক যুগ আগেও গুণ টানা নৌকার সরব যাত্রা ছিলো। সারিবদ্ধভাবে গুণ টেনে নৌকাগুলোকে উজানে নেয়া হতো। পণ্য পরিবহণেরও নদী পথে গুণ টানা নৌকার ব্যাপক কদর ছিলো। নদীর পাড় দিয়ে গুণ টেনে উজানে যেতেন গুণেনরা। অভিজ্ঞ মাঝি নিপুণ হাতে হাল ধরেতন। নদীবক্ষে অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হতো। নদী পাড়ের মানুষরা সেসব দৃশ্য দু’চোখ ভরে উপভোগও করতেন।
শুধু যে গুণ টানা নৌকায় পণ্য আনা-নেয়া করা হতো তা কিন্তু নয়। এ ধরণের নৌকায় মাইক লাগিয়ে বিয়ে করেত নদী পথে বরযাত্রীও যেতেন। বর-বউ আনা নেয়ার কাজেও ব্যবহৃত হতো গুণ টানা নৌকা। নৌকার ভেতরে রান্নাবান্না, খাবার-দাবার ও ঘুমানোর আয়োজনও হতো।
জীবনের সঙ্গে যেমন নদীর আত্মীয়তা তেমনি নৌকা ও নদী একই সূত্রে বাঁধা। একটা সময় ছিলো যখন নৌকা ছাড়া একমুহূর্তও চলতো না। হাটবাজারগুলো গড়ে উঠেছিল নদীর ধারে। ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো নদী কেন্দ্রীক গড়ে ওঠায় নৌকার প্রচলণ ছিলো অপরিহার্য। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নৌকা ছিলো অন্যতম বাহন।
একটা নৌকা মানে- একটা জীবন, অজানা কথা, মায়ের আকুতি, বাবার মুখ, কত স্মৃতি, দু:খগাথা, ঘর-সংসার, সমাজ, বাস্তবতা, হাসি-আনন্দ, ক্ষুধা, দুর্যোগ-দুর্ভোগ তার সঙ্গে সংস্কৃতিও। কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীরা একাত্ম হন এখানে। নদী ও নৌকার পেশাজীবীরা উঠে আসেন শৈল্পিকভাবে। নাটক ও সিনেমাতেও নদী ও নৌকার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে গুণ টানা নৌকার বিশেষত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সৃষ্টি হয় পদ্মা নদীর মাঝি কিংবা তিতাস একটি নদীর নাম’র মতো উপাখ্যান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রমোদতরী নিয়ে নদীতে কাটিয়েছেন দীর্ঘকাল। নামকরণ করেছেন বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনারতরী’।
বিজ্ঞানের ক্রম: উৎকর্ষ সাধণে নৌকা ও ট্রলারে ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। ফলে গুণ টানা নৌকা এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আর আগেকার মতো এসব দৃশ্য চোখে পড়ে না। কচিৎ দেখা মেলে মহম্মদপুরের মধুমতি নদীতে। একজন বা দু’জন গুণ টেনে নদী পাড় বরাবর হাটছেন। মাঝি হাল ধরে বসে আছেন। গুণ টানা নৌকা প্রচলন যখন সরব ছিলো; তখন নদী তীরে হৈচৈ ছিলো। ছিলো ভালিয়াটি, মুর্শীদি গানের সুরসহ নানান গল্প, কবিতা ও ছন্দ। সেসব চিরন্তন প্রেক্ষাপট ও দৃশ্য আজ কেবলই অতীত। আগামী প্রজন্মের কাছে এসব বাস্তব বর্ণনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই মনে হবে।
মাগুরার মহম্মদপুরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীতে এক যুগ আগেও গুণ টানা নৌকার সরব যাত্রা ছিলো। সারিবদ্ধভাবে গুণ টেনে নৌকাগুলোকে উজানে নেয়া হতো। পণ্য পরিবহণেরও নদী পথে গুণ টানা নৌকার ব্যাপক কদর ছিলো। নদীর পাড় দিয়ে গুণ টেনে উজানে যেতেন গুণেনরা। অভিজ্ঞ মাঝি নিপুণ হাতে হাল ধরেতন। নদীবক্ষে অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হতো। নদী পাড়ের মানুষরা সেসব দৃশ্য দু’চোখ ভরে উপভোগও করতেন।
শুধু যে গুণ টানা নৌকায় পণ্য আনা-নেয়া করা হতো তা কিন্তু নয়। এ ধরণের নৌকায় মাইক লাগিয়ে বিয়ে করেত নদী পথে বরযাত্রীও যেতেন। বর-বউ আনা নেয়ার কাজেও ব্যবহৃত হতো গুণ টানা নৌকা। নৌকার ভেতরে রান্নাবান্না, খাবার-দাবার ও ঘুমানোর আয়োজনও হতো।
জীবনের সঙ্গে যেমন নদীর আত্মীয়তা তেমনি নৌকা ও নদী একই সূত্রে বাঁধা। একটা সময় ছিলো যখন নৌকা ছাড়া একমুহূর্তও চলতো না। হাটবাজারগুলো গড়ে উঠেছিল নদীর ধারে। ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো নদী কেন্দ্রীক গড়ে ওঠায় নৌকার প্রচলণ ছিলো অপরিহার্য। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নৌকা ছিলো অন্যতম বাহন।
একটা নৌকা মানে- একটা জীবন, অজানা কথা, মায়ের আকুতি, বাবার মুখ, কত স্মৃতি, দু:খগাথা, ঘর-সংসার, সমাজ, বাস্তবতা, হাসি-আনন্দ, ক্ষুধা, দুর্যোগ-দুর্ভোগ তার সঙ্গে সংস্কৃতিও। কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীরা একাত্ম হন এখানে। নদী ও নৌকার পেশাজীবীরা উঠে আসেন শৈল্পিকভাবে। নাটক ও সিনেমাতেও নদী ও নৌকার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে গুণ টানা নৌকার বিশেষত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সৃষ্টি হয় পদ্মা নদীর মাঝি কিংবা তিতাস একটি নদীর নাম’র মতো উপাখ্যান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রমোদতরী নিয়ে নদীতে কাটিয়েছেন দীর্ঘকাল। নামকরণ করেছেন বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনারতরী’।
বিজ্ঞানের ক্রম: উৎকর্ষ সাধণে নৌকা ও ট্রলারে ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। ফলে গুণ টানা নৌকা এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আর আগেকার মতো এসব দৃশ্য চোখে পড়ে না। কচিৎ দেখা মেলে মহম্মদপুরের মধুমতি নদীতে। একজন বা দু’জন গুণ টেনে নদী পাড় বরাবর হাটছেন। মাঝি হাল ধরে বসে আছেন। গুণ টানা নৌকা প্রচলন যখন সরব ছিলো; তখন নদী তীরে হৈচৈ ছিলো। ছিলো ভালিয়াটি, মুর্শীদি গানের সুরসহ নানান গল্প, কবিতা ও ছন্দ। সেসব চিরন্তন প্রেক্ষাপট ও দৃশ্য আজ কেবলই অতীত। আগামী প্রজন্মের কাছে এসব বাস্তব বর্ণনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই মনে হবে।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়