গলাচিপা (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া স্কুল
ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে হারুন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে
রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত যুবককে নিজ বাড়ি থেকে
গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্য গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ৮
হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০টি বেত্রাঘাতের রায় দেন কথিত সমাজপতিরা । ওই রায়ের
বেত্রাঘাত কার্যকর করা হলেও জরিমানার টাকা পৌঁছেনি ভিকটিমের পরিবারের
কাছে। এদিকে এই খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা হয়েছে, যার মামলা নং-০৫। ভিকটিমের
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চিনাবুনিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া মোঃ
ইউনুছ চৌকিদারের মেয়ে চালিতাবুনিয়া মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী । গত বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে হারুন (৩২) নামে
এক যুবক ঐ ছাত্রীকে স্কুলের পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা
করে। ঐ সময় ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে তাকে
উদ্ধার করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা শ্লীলতাহানীকারী হারুনকে আটক করলে
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু রহমান হাওলাদারের নির্দেশে যুবলীগের
সভাপতি রানা হাওলাদার, যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম হারুনকে
ছাড়িয়ে নেয়। নেবার সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের শাসিয়ে যায়। বিভিন্ন পত্র
পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে মঙ্গলবার উক্ত স্কুলের একটি কক্ষে
যুবলীগ সভাপতি মোঃ রানা হাওলাদার, সাবেক যুবলীগ সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম,
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ হানিফ হাওলাদার, মেম্বার মনজু খাঁন ও
কবির হাওলাদারের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকে হারুনের ৮
হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০টি বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হয়। মেয়ের বাবা মোঃ
ইউনুছ চৌকিদার জানান, আমার মেয়ের শ্লীলতাহানীর ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানায়
অভিযোগ করলে পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করলেও আমার পরিবার সহ আমরা এখনও
নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছি । রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম
মাসুদুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ধর্ষন চেষ্টাকারী হারুনকে
গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। অধিকতর তদন্ত পূর্বক
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়