Tuesday, March 4

মুমিনুল ফেরালেন হাফিজকে

ঢাকা: স্বাগতিকদের ছুড়ে দেয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করছে পাকিস্তান। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৯৭ রান। এ সময় মোহাম্মদ হাফিজ ৫২ ও আহমেদ শেহজাদ ৩৮ রানে ব্যাট করে দলকে শক্ত ভিত্তি গড়ে দিচ্ছিলেন।
জয়ের জন্য অবশিষ্ট ৩০ ওভার থেকে তাদেরকে আরও ২৩০ রান করতে হবে। হাতে আছে সবগুলো উইকেট।
এর আগে ব্যাটসম্যানদের স্বপ্রের দিনে রানোৎসবে মেতেছিল টাইগাররা। শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের অসাধারণ বীরোচিত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ৩২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই কোন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।
ব্যাটসম্যানদের এই রানোৎসবের সূচনা করেন বাংলাদেশের নতুন উদ্বোধনী জুটি আনামুল হক বিজয় এবং ইমরুল কায়েস। শুরু থেকেই অসম সাহসীকতায় পাক বোলারদের বিপর্যস্ত করে তারা দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ইনিংসের ১২তম ওভারে দলীয় অর্ধশতক ও ১৮তম ওভারে দলীয় শতক পাইয়ে দেন তারা দলকে। শেষ পর্যন্ত ২৮.৪ ওভারে ১৫০ রান তোলার পর বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি। ইমরুল কায়েস ৭৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান তুলে মোহাম্মদ তালহার বলে কট বিহাইন্ড হন।
এর পর আনামুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুমিনুল হক। এ জুটিতে ৫৪ রান যোগ হয়। আনামুল শুরু থেকে অসাধারণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন। এরপরই তার ১৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংসটি শেষ হয় সাঈদ আজমলের বলে আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দী হয়ে। এবার জুটিবদ্ধ হন মুমিনুল হক এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
চমকপ্রদ ব্যাটিং করে অর্ধশতক পূর্ণ করে পাক তারকা অফ স্পিনার সাঈদ আজমলের শিকারে পরিনত হলেন মুমিনুল হক। ইনিংসের ৪৪.২ ওভারে ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা মুমিনুল বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দী হন। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ছিল ৩ উইকেটে ২৪৯ রান। এরপরই শেষ চমক উপহার দেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪র্থ উইকেটে অধিনায়ককে নিয়ে পাক বোলারদের বিধ্বস্ত করে মাত্র ৫.৪ ওভারে ৭৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। ফলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি অর্জন করে স্বাধীনতার মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষেই। অধিনায়ক মুশফিক মাত্র ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারির ঝড়ে ৫১ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে টানা ৩ ম্যাচ না খেলার বঞ্চনার শোধ নেন সাকিব আল হাসান। পাক বোলিংকে কচুকাটা করে তিনি মাত্র ১৬ বলে ৬ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় ৪৪ রানের টর্নেডো্ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
পাক বোলারদের দুঃস্বপ্নের দিনে ৬১ রানে ২ উইকেট তুলে নেন তারকা অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। মোহাম্মদ তালহা ৬৮ রানের খরচায় বাকী উইকেটটি নেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে পাঁচটি পরিবর্তন সাধিত হয়। একাদশে ফেরেন সাকিব। তাছাড়া সুযোগ হয় মাহমুদুল্লাহ, শফিউল ও আল আমিনের। পাকিস্তান দলে জায়গা ফিরে পান ফাওয়াদ আলম ও আবদুর রহমান। এজন্য শারজিল খান ও জুনাইদ খানকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৫০ ওভার ৩২৬/৩ (আনামুল ১০০, ইমরুল ৫৯, মুমিনুল ৫১, মুশফিক অপরাজিত ৫১, সাকিব অপরাজিত ৪৪, আজমল ২/৬১, তালহা ১/৬৮)
বাংলাদেশ দল: ইমরুল কায়েস, আনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, জিয়াউর রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আবদুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন।
পাকিস্তান দল: আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, মিসবাহ উল হক, উমর আকমল, শোয়েব মাকসুদ, শহিদ আফ্রিদি, উমর গুল, সাঈদ আজমল, উমর গুল, মোহাম্মদ তালহা ও ফাওয়াদ আলম।
বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়