কালীগঞ্জ,
(ঝিনাইদহ): কলার ব্যবসায় খুব একটা লাভ হচ্ছিল না। যতসামান্য আয়ে সংসার
চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। অর্থাভাবে স্কুল পড়–য়া দুই ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা
প্রায় বন্ধের পথে। এমন সময় পরিচয় হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী
কৃষি অফিসার এনায়েত কবীরের সাথে। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় ২০০৯সালে নিজের
৩০শতাংশ জমিতে আপেল কুলের চাষ করি। খরচ বাদে সেই বছর প্রায় ৬০হাজার টাকা
লাভ হয়েছিল। ২য় বছর ৭০শতাংশ জমিতে। আর এবছরে প্রায় ২একর জমিতে আপেল কুলের
চাষ করেছি। কুল চাষের আয় থেকে এই পাঁচ বছরে ১একর জমিও কিনেছি। এভাবেই কুল
চাষে সফলতার কথা জানান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের কৃষক
মুক্তার আলী।
কুল চাষী মুক্তার আলী জানান, ২০০৯ সালে পাঁচকাহুনিয়া মাঠে কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এন এ টিপি প্রকল্পের আপেল কুলের খামার থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের ৩০শতাংশ জমিতে কুল চাষ শুরু করেন। কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এনায়েত কবীরের সর্বাত্মক সহযোগিতায় ও নিজের আন্তরিক পরিচর্যায় এক বছরের মাথায় গাছে কুল আসে। ৬০টি কুল গাছ থেকে সেবছর প্রায় ২ মে.টন কুল বিক্রি করে ৭০হাজার টাকা আয় হয়। প্রথম বছর ভালো লাভ পাওয়ায় ব্যবসা ছেড়ে কুল চাষে মনোনিবেশ করেন। ২য় বছর ৭০শতাংশ জমিতে কুল চাষ করে মোট অংকের মুনাফা পাওয়ার পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতি বছর চাষের জমি বাড়াতে থাকেন। এ বছর তিনি প্রায় ২ একর জমিতে কুল চাষ করেছেন। এবারে প্রায় ৫ থেকে ৭লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। মুক্তার জানান, ২একর জমিতে তার প্রায় ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দেশিয় কুলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ফাল্গুন মাসের দিকে জমিতে ওগুলো রোপন করেন। চারা দেড় ফুট উচ্চতায় আসলে আপেল কুলের ডাল কেটে দেশি কুলের চারার সাথে জোড় কলম বেঁধে দেন। কুল ক্ষেতে নিয়মিত সেচ, আগাছা পরিস্কার ও সার ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। এক বছর পর গাছে কুল আসে। একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৩বছর কুল পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, ভালোভাবে পরিচর্যা করলে এক একটি গাছ থেকে এক মৌসুমে কমপক্ষে ৬০কেজি কুল পাওয়া যায়।
কুল চাষী মুক্তারের ২একর জমির ৪০০টি কুল গাছ থেকে প্রতি ২দিন অন্তর প্রায় ২০০ কেজি করে কুল পাওয়া যায়। এভাবে একাধারে ৩মাস পর্যন্ত কুল বিক্রয় করা যায় বলে তিনি জানান। কুল তোলার পর তা বাছাই করে প্যাকেটজাত করে ঢাকায় পাঠান হয়। ঢাকাতে প্রতি কেজি কুল ৫০টাকা দরে বিক্রি করা হয়। কৃষক মুক্তার আশা করছেন এবারের ২ একর জমি থেকে কমপক্ষে ২’শ মে.টন কুল পাওয়া যাবে। এতে এক মৌসুমে তিনি কমপক্ষে ৫ থেকে ৭লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। এ মৌসুমে খরচ বাদে প্রায় ৫লাখ টাকার নীট মুনাফার আশা করছেন তিনি।
কুল চাষী মুক্তার আলী জানান, ২০০৯ সালে পাঁচকাহুনিয়া মাঠে কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এন এ টিপি প্রকল্পের আপেল কুলের খামার থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের ৩০শতাংশ জমিতে কুল চাষ শুরু করেন। কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এনায়েত কবীরের সর্বাত্মক সহযোগিতায় ও নিজের আন্তরিক পরিচর্যায় এক বছরের মাথায় গাছে কুল আসে। ৬০টি কুল গাছ থেকে সেবছর প্রায় ২ মে.টন কুল বিক্রি করে ৭০হাজার টাকা আয় হয়। প্রথম বছর ভালো লাভ পাওয়ায় ব্যবসা ছেড়ে কুল চাষে মনোনিবেশ করেন। ২য় বছর ৭০শতাংশ জমিতে কুল চাষ করে মোট অংকের মুনাফা পাওয়ার পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতি বছর চাষের জমি বাড়াতে থাকেন। এ বছর তিনি প্রায় ২ একর জমিতে কুল চাষ করেছেন। এবারে প্রায় ৫ থেকে ৭লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। মুক্তার জানান, ২একর জমিতে তার প্রায় ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দেশিয় কুলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ফাল্গুন মাসের দিকে জমিতে ওগুলো রোপন করেন। চারা দেড় ফুট উচ্চতায় আসলে আপেল কুলের ডাল কেটে দেশি কুলের চারার সাথে জোড় কলম বেঁধে দেন। কুল ক্ষেতে নিয়মিত সেচ, আগাছা পরিস্কার ও সার ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। এক বছর পর গাছে কুল আসে। একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৩বছর কুল পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, ভালোভাবে পরিচর্যা করলে এক একটি গাছ থেকে এক মৌসুমে কমপক্ষে ৬০কেজি কুল পাওয়া যায়।
কুল চাষী মুক্তারের ২একর জমির ৪০০টি কুল গাছ থেকে প্রতি ২দিন অন্তর প্রায় ২০০ কেজি করে কুল পাওয়া যায়। এভাবে একাধারে ৩মাস পর্যন্ত কুল বিক্রয় করা যায় বলে তিনি জানান। কুল তোলার পর তা বাছাই করে প্যাকেটজাত করে ঢাকায় পাঠান হয়। ঢাকাতে প্রতি কেজি কুল ৫০টাকা দরে বিক্রি করা হয়। কৃষক মুক্তার আশা করছেন এবারের ২ একর জমি থেকে কমপক্ষে ২’শ মে.টন কুল পাওয়া যাবে। এতে এক মৌসুমে তিনি কমপক্ষে ৫ থেকে ৭লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। এ মৌসুমে খরচ বাদে প্রায় ৫লাখ টাকার নীট মুনাফার আশা করছেন তিনি।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়