ঢাকা : পিলখানা ট্র্যাজেডির মর্মন্তুদ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন কর্নেল ইলাহির
পুত্র সাকিব রহমান পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহী
রহমানের ছেলে সাকিব রহমান। পিতার মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর। এখন ২৪।
সেই ভয়াল সময়ের স্মৃতিচারণ করে সাকিব বলেন, তখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন
শাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য কেবল ভর্তি হয়েছি। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ক্রিমিনোলজিতে মাস্টার্স পড়ছি। সে সময় আশুলিয়া আবাসিক ক্যাম্পাসে থাকতাম।
২০০৯ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরির পর বাবা গেলেন আমার ক্যাম্পাসে।
বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। ঢাকায় ঢোকার আগেই
সাভারে আমাকে দেখে আসবেন। সেই দেখাই আমাদের শেষ দেখা তা কি বাবা জানতেন?
প্রায় এক মাস পরে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। বাবা সেনা অফিসার ছিলেন। এক মাস
আগে তিনি বিডিআরে বদলি হন। বিডিআরের পোশাকে বাবাকে ওই দিনই আমি প্রথম দেখি।
আর সেটাই শেষ দেখা। বাবা অনেক খাবার জিনিস নিয়ে গেলেন। তার সঙ্গে ছিলেন
একজন গানম্যান। তার সঙ্গেও আমার দেখা হয়, কথা হয়। গানম্যান সব সময় বাবার
পাশেই ছিলেন। বাবার নিরাপত্তা দেয়ার কথা ছিল তার। অথচ চারদিন পর তার মতো
কোন একজন গানম্যানের গুলিতেই জীবন গেল বাবার। সুনির্দিষ্ট একজন সিপাহিকে
দায়ী করছি না। কিন্তু মাত্র এক মাসে সিপাহিদের সঙ্গে বাবার কি শত্রুতা হলো
যে তাকে মরতে হলো? হত্যাকাণ্ডে বিচার হয়েছে। সবাই সোচ্চার থাকলে কার্যকরও
হবে হয়তো।
একটি দৈনিকের আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বাবাকে ফিরে পাবো না। কিন্তু বাবার অবদানকে সবাই মনে রাখুক এটা চাই। হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। এত দ্রুত বিচার হওয়া থেকে শুরু করে অনেক দিক বিবেচনায় এ বিচারের বিশেষত্ব আছে। আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারী এই তরুণ বলেন, আমি আগেও লিখেছি আমার কথা। ডিএডি তৌহিদ, জাহিদসহ অনেকের ফাঁসি হয়েছে। তাদের ফাঁসি হোক তা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু এর পেছনের হোতা কারা তা স্পষ্ট হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করার দাবি জানিয়েছি আমি। যে কমিশন গঠিত হলে হত্যাকাণ্ডের ভেতরের বিস্তারিত বিষয় জানা যাবে। বাইরের তথ্যগুলোই শুধু পাওয়া গেছে। কিন্তু কাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, এর পেছনে কাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ছিল- তা সব বেরিয়ে আসেনি। এগুলো বের করা জরুরি। এখন কেমন কাটে আপনার জীবন, আপনার মায়ের দিন কিভাবে কাটে- প্রশ্ন করতেই বললেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন বাবা পাশে ছিলেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলাম। কনভোকেশন অনুষ্ঠানে সবাই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যায়, আমি নিতে পারিনি। জীবনের ভাল সময়গুলোতেও বাবা নেই। খারাপ সময়গুলোতেও বাবা নেই। বাবাকে বড় মিস করি। সাকিব বললেন, প্রতি বছর এই দিনটি আসলে গণমাধ্যম আমাদের কাছে আসে। স্মরণ করে। এটা স্বাভাবিক। গণমাধ্যম একা তো আর সব কিছু করতে পারবে না। আমাদের সমাজের সুশীল সমাজ টকশোতে সারা বছর আলুর বাম্পার ফলন থেকে শুরু করে কত বিষয়ে কথা বলেন। মানবাধিকার নিয়ে তারা কত কথা বলেন, বিশ্লেষণ করেন। কিন্তু পিলখানা নিয়ে তারা নীরব। তাদেরও কথা বলা উচিত। কর্নেল ইলাহীর একমাত্র সন্তান সাকিব রহমান। তার স্ত্রী লবী রহমান বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী। বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান প্রযোজক।
একটি দৈনিকের আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বাবাকে ফিরে পাবো না। কিন্তু বাবার অবদানকে সবাই মনে রাখুক এটা চাই। হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। এত দ্রুত বিচার হওয়া থেকে শুরু করে অনেক দিক বিবেচনায় এ বিচারের বিশেষত্ব আছে। আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারী এই তরুণ বলেন, আমি আগেও লিখেছি আমার কথা। ডিএডি তৌহিদ, জাহিদসহ অনেকের ফাঁসি হয়েছে। তাদের ফাঁসি হোক তা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু এর পেছনের হোতা কারা তা স্পষ্ট হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করার দাবি জানিয়েছি আমি। যে কমিশন গঠিত হলে হত্যাকাণ্ডের ভেতরের বিস্তারিত বিষয় জানা যাবে। বাইরের তথ্যগুলোই শুধু পাওয়া গেছে। কিন্তু কাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, এর পেছনে কাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ছিল- তা সব বেরিয়ে আসেনি। এগুলো বের করা জরুরি। এখন কেমন কাটে আপনার জীবন, আপনার মায়ের দিন কিভাবে কাটে- প্রশ্ন করতেই বললেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন বাবা পাশে ছিলেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলাম। কনভোকেশন অনুষ্ঠানে সবাই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যায়, আমি নিতে পারিনি। জীবনের ভাল সময়গুলোতেও বাবা নেই। খারাপ সময়গুলোতেও বাবা নেই। বাবাকে বড় মিস করি। সাকিব বললেন, প্রতি বছর এই দিনটি আসলে গণমাধ্যম আমাদের কাছে আসে। স্মরণ করে। এটা স্বাভাবিক। গণমাধ্যম একা তো আর সব কিছু করতে পারবে না। আমাদের সমাজের সুশীল সমাজ টকশোতে সারা বছর আলুর বাম্পার ফলন থেকে শুরু করে কত বিষয়ে কথা বলেন। মানবাধিকার নিয়ে তারা কত কথা বলেন, বিশ্লেষণ করেন। কিন্তু পিলখানা নিয়ে তারা নীরব। তাদেরও কথা বলা উচিত। কর্নেল ইলাহীর একমাত্র সন্তান সাকিব রহমান। তার স্ত্রী লবী রহমান বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী। বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান প্রযোজক।
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়