মুন্সীগঞ্জ: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারিতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে সবার
দৃস্টি এখন চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের দিকে। ইউনিয়নগুলোর ৪২টি ভোট কেন্দ্রের
প্রায় ৭৬ হাজার ভোটকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। চরাঞ্চলে বিএনপি
নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়ায় এ উত্তেজনা আরো বেশি হচ্ছে। নির্বাচনের
অন্তিম মুহুর্তেও চরগুলো দখল হয়ে আছে ক্ষমতাসীন প্রার্থীর পক্ষে। আর বিএনপি
মরিয়া হয়ে নির্বাচনের দিন হলেও এলাকায় যাবার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ
জয়ের জন্য ৭৬ হাজার ভোট বড়ই ফ্যাক্টর। এ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার
১০৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২লাখ ৫৬ হাজার ৬শ’। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার
১লাখ ৩২ হাজার ৮২০টি ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৮০টি।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক সচেতন মহল চরের ৫টি ইউনিয়নের ভোট প্রাপ্তি নিয়ে হিসেব কসছেন-কে পরবেন জয়ের মালা। তাই বিএনপি নির্বাচনের আগের দিন কিংবা নির্বাচনের দিন এলাকায় উঠতে চাইলে এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ, ইউপিসহ সব ধরনের নির্বাচনেই ভোটের আগের দিন এলাকা বিতাড়িত লোকজন এলাকায় উঠতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত-নিহত, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সক্রিয় ও ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটদানের পরিবেশ সৃস্টি করতে না পারলে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এবারো চরাঞ্চলের ব্যাপক রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তোতা মিয়া জানান, তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চরাঞ্চলের বাংলাবাজারে বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেন পুস্তির পক্ষে আনারস প্রতীকের ভোট চাইতে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুজ্জামানের দোয়াত কলমের ২০-২৫ জন সমর্থক তাদের ঘেরাও করে মারধর, গালমন্দ করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন পুস্তি বলেন, সেখানে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ভোটদানের পরিবেশ সৃস্টি করতে পারেনি। বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের এলাকা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যারা আছে, তাদেরকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনেককে নির্বাচনের দিন ঢাকায় থাকতে বলা হচ্ছে। নির্বিঘেœ ভোটদানে ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য এলাকায় রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে চরাঞ্চলের ৪২টি কেন্দ্রসহ উপজেলার ৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিক অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা রির্টানিং অফিসার এডিসি জেনারেল মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, সব্বোর্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য মাইকিং করে ভোটারদের উৎসাহিত করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব-পুলিশ টহল দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে শহরের কাছে মুন্সীরহাট এলাকায় বিএনপি দলীয় সাবেক উপমন্ত্রী জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন পুস্তি (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শহীদুল ইসলাম (তালা ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত খালেক মাস্টারের মেয়ে রুবী আক্তারকে (হাঁস) নিয়ে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় তারা তাৎক্ষনিক শহরের জুবলী রোডের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুজ্জামান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক সচেতন মহল চরের ৫টি ইউনিয়নের ভোট প্রাপ্তি নিয়ে হিসেব কসছেন-কে পরবেন জয়ের মালা। তাই বিএনপি নির্বাচনের আগের দিন কিংবা নির্বাচনের দিন এলাকায় উঠতে চাইলে এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ, ইউপিসহ সব ধরনের নির্বাচনেই ভোটের আগের দিন এলাকা বিতাড়িত লোকজন এলাকায় উঠতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত-নিহত, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সক্রিয় ও ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটদানের পরিবেশ সৃস্টি করতে না পারলে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এবারো চরাঞ্চলের ব্যাপক রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তোতা মিয়া জানান, তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চরাঞ্চলের বাংলাবাজারে বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেন পুস্তির পক্ষে আনারস প্রতীকের ভোট চাইতে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুজ্জামানের দোয়াত কলমের ২০-২৫ জন সমর্থক তাদের ঘেরাও করে মারধর, গালমন্দ করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন পুস্তি বলেন, সেখানে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ভোটদানের পরিবেশ সৃস্টি করতে পারেনি। বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের এলাকা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যারা আছে, তাদেরকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনেককে নির্বাচনের দিন ঢাকায় থাকতে বলা হচ্ছে। নির্বিঘেœ ভোটদানে ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য এলাকায় রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে চরাঞ্চলের ৪২টি কেন্দ্রসহ উপজেলার ৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিক অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা রির্টানিং অফিসার এডিসি জেনারেল মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, সব্বোর্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য মাইকিং করে ভোটারদের উৎসাহিত করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব-পুলিশ টহল দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে শহরের কাছে মুন্সীরহাট এলাকায় বিএনপি দলীয় সাবেক উপমন্ত্রী জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন পুস্তি (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শহীদুল ইসলাম (তালা ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত খালেক মাস্টারের মেয়ে রুবী আক্তারকে (হাঁস) নিয়ে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় তারা তাৎক্ষনিক শহরের জুবলী রোডের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুজ্জামান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়