মাহবুবুর রশিদঃ
নদীর সঙ্গে মানুষের গভীর মিতালি কথাটির সাথে আজ আর পুরোপুরি মিল নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় নদ-নদীগুলো। তেমনি এক খরস্রোতা নদী সুরমা। বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং দীর্ঘতম । এক সময়ের খরস্রোতা নদী নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে অনেক স্থানে মরা খালে পরিণত হয়েছে। মরূভূমির মতো চারদিকে ধু ধু বালুচর জেগে উঠেছে। কানাইঘাট উপজেলায় প্রবাহিত সুরমা নদী তার পুরোনো যৌবন হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়ায় সে নদী পার হতে এখন আর নৌকার প্রয়োজন হয়না । ঁেহটেই পার হওয়া যায় । নদীর কোন কোন অংশে হাটু পানি বা তার চেয়েও কম । বর্ষা মৌসুমে যে নদী দিয়ে চলে বড় বড় লঞ্চ,পাথরবাহী নৌকা,পালতোলা নৌকা। সে নদী দিয়ে এখন ডিঙ্গি নৌকাও চলে খুব সীমিত । প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেই কমে যায় সুরমার পানি আটকা পড়ে শত শত নৌকা। বেকার হয়ে পড়ে এসব নৌকার শ্রমিকরা । উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গার নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারের মালপত্র সরবরাহ করতে বিঘœ সৃষ্টি হয় । এর ফলে ব্যবসায়ীরা অসুবিধার সম্মুখীন হন। সুরমা নদীর বিভিন্ন অংশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে নদীর দুপাশে জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল চর । এসব চরে কেউ শাক-সবজি চাষ করছে আবার কেউ খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছেন । সুরমা তীরবর্তী গোসাইনপুর গ্রামের আফতাব আলী জানান,নদীর নিচের অংশ (তলদেশ) ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানির ধারণমতা কমে যায় । যার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি সামান্য বাড়লেই আমাদের ঘর বাড়ী ডুবে যায় এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দেয় । নদী তীরবর্তী এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান,শুষ্ক মৌসুমে,সুরমা নদীর গভীরতা খালের চেয়েও আরো কমে যায় । মরা খালে পরিণত হয়ে যায় সুরমা । মরুভূমি হয়ে যাওয়া সুরমাকে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করলে পুরনো নাব্যতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে অনেকের ধারণা ।
নদীর সঙ্গে মানুষের গভীর মিতালি কথাটির সাথে আজ আর পুরোপুরি মিল নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় নদ-নদীগুলো। তেমনি এক খরস্রোতা নদী সুরমা। বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং দীর্ঘতম । এক সময়ের খরস্রোতা নদী নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে অনেক স্থানে মরা খালে পরিণত হয়েছে। মরূভূমির মতো চারদিকে ধু ধু বালুচর জেগে উঠেছে। কানাইঘাট উপজেলায় প্রবাহিত সুরমা নদী তার পুরোনো যৌবন হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়ায় সে নদী পার হতে এখন আর নৌকার প্রয়োজন হয়না । ঁেহটেই পার হওয়া যায় । নদীর কোন কোন অংশে হাটু পানি বা তার চেয়েও কম । বর্ষা মৌসুমে যে নদী দিয়ে চলে বড় বড় লঞ্চ,পাথরবাহী নৌকা,পালতোলা নৌকা। সে নদী দিয়ে এখন ডিঙ্গি নৌকাও চলে খুব সীমিত । প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেই কমে যায় সুরমার পানি আটকা পড়ে শত শত নৌকা। বেকার হয়ে পড়ে এসব নৌকার শ্রমিকরা । উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গার নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারের মালপত্র সরবরাহ করতে বিঘœ সৃষ্টি হয় । এর ফলে ব্যবসায়ীরা অসুবিধার সম্মুখীন হন। সুরমা নদীর বিভিন্ন অংশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে নদীর দুপাশে জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল চর । এসব চরে কেউ শাক-সবজি চাষ করছে আবার কেউ খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছেন । সুরমা তীরবর্তী গোসাইনপুর গ্রামের আফতাব আলী জানান,নদীর নিচের অংশ (তলদেশ) ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানির ধারণমতা কমে যায় । যার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি সামান্য বাড়লেই আমাদের ঘর বাড়ী ডুবে যায় এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দেয় । নদী তীরবর্তী এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান,শুষ্ক মৌসুমে,সুরমা নদীর গভীরতা খালের চেয়েও আরো কমে যায় । মরা খালে পরিণত হয়ে যায় সুরমা । মরুভূমি হয়ে যাওয়া সুরমাকে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করলে পুরনো নাব্যতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে অনেকের ধারণা ।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়