ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধে জামাত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মামলার চূড়ান্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ থেকে ৭৯০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে মৃত্যুদণ্ডকেই কাদের মোল্লার জন্য ‘একমাত্র যথার্থ শাস্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এতে বলা হয়েছে, ‘কাদের মোল্লার অপরাধসমূহ এতোই পৈশাচিক যে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কোনো সাজাই তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই তার প্রাপ্য। তার অপরাধের ফলাফল সমগ্র জাতিকে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরেও তার অপরাধসমূহ নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আদালত রায়ের অভিমতে আরো বলেন, ‘কাদের মোল্লার এই অপরাধ মানবজাতির বিবেককে দারুণভাবে আহত ও স্তম্ভিত করে। এ কারণেই ৬ নম্বর অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার রায় অবিবেচনাপ্রসূত এবং সাজা প্রদানের নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের তিন নম্বর সাক্ষী এই ঘটনার স্বাভাবিক সাক্ষী এবং এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী, যাকে পক্ষপাতদুষ্ট সাক্ষী বলা যায় না। এই অপরাধের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডই কাদের মোল্লার যথাযর্থ দণ্ড।’
বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, ‘সরকারের দায়ের করা আপিল রক্ষণযোগ্য। ৪ নম্বর অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দিয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করে এই অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এছাড়া ছয় নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বাতিল করে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়। অপরদিকে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কাদের মোল্লার আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ‘একাত্তরের কসাই’ হিসেবে পরিচিত কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন : বিচারপতি এসকে সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আইনজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর আসামি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করবেন কি-না, তা আদালত গ্রহণ করবেন কি-না, তার ওপর নির্ভর করছে রায় কার্যকর প্রক্রিয়া।
যদিও রিভিউ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। যদি আসামি পক্ষের রিভিউ গ্রহণ করা হয় তাহলে শুনানি শেষ হতে সাত থেকে দশ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ আবেদন নাকচ হলে জেল কোডের ২১ থেকে ২৮ দিন হিসেবে ডিসেম্বরেই কার্যকর হতে পারে কাদের মোল্লার রায়।---ডিনিউজ
প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে মৃত্যুদণ্ডকেই কাদের মোল্লার জন্য ‘একমাত্র যথার্থ শাস্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এতে বলা হয়েছে, ‘কাদের মোল্লার অপরাধসমূহ এতোই পৈশাচিক যে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কোনো সাজাই তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই তার প্রাপ্য। তার অপরাধের ফলাফল সমগ্র জাতিকে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরেও তার অপরাধসমূহ নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আদালত রায়ের অভিমতে আরো বলেন, ‘কাদের মোল্লার এই অপরাধ মানবজাতির বিবেককে দারুণভাবে আহত ও স্তম্ভিত করে। এ কারণেই ৬ নম্বর অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার রায় অবিবেচনাপ্রসূত এবং সাজা প্রদানের নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের তিন নম্বর সাক্ষী এই ঘটনার স্বাভাবিক সাক্ষী এবং এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী, যাকে পক্ষপাতদুষ্ট সাক্ষী বলা যায় না। এই অপরাধের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডই কাদের মোল্লার যথাযর্থ দণ্ড।’
বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, ‘সরকারের দায়ের করা আপিল রক্ষণযোগ্য। ৪ নম্বর অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দিয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করে এই অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এছাড়া ছয় নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বাতিল করে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়। অপরদিকে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কাদের মোল্লার আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ‘একাত্তরের কসাই’ হিসেবে পরিচিত কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন : বিচারপতি এসকে সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আইনজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর আসামি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করবেন কি-না, তা আদালত গ্রহণ করবেন কি-না, তার ওপর নির্ভর করছে রায় কার্যকর প্রক্রিয়া।
যদিও রিভিউ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। যদি আসামি পক্ষের রিভিউ গ্রহণ করা হয় তাহলে শুনানি শেষ হতে সাত থেকে দশ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ আবেদন নাকচ হলে জেল কোডের ২১ থেকে ২৮ দিন হিসেবে ডিসেম্বরেই কার্যকর হতে পারে কাদের মোল্লার রায়।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়