ঢাকা : সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট’কে (বিএনএফ) দল পরিচালনার জন্য টাকা দিচ্ছেন দেশের পাঁচ বিশিষ্ট শিল্পপতি। আওয়ামী লীগ সমর্থক ওই পাঁচ শিল্পপতি মিলে কয়েকশ কোটি টাকা দিচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাবেক, বর্তমান সংসদ সদস্য, মন্ত্রী মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ জনকে বিএনএফে ‘কিনে’ আনার জন্যই শিল্পপতিরা ওই টাকা দিচ্ছেন। শিল্পপতিদের টাকা দেয়া, বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার কাজটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কয়েক কর্মকর্তা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানায়।
জানা যায়, এর আগে গত চার দলের জোট সরকারের আমলে বিএনপিকে ভাঙতে শত কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল শিল্পপতি, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে। বিএনপির পঞ্চাশ সংসদ সদস্যকে শত কোটি টাকা দিয়ে ডা. বদরোদ্দাজা চৌধুরীর বিকল্পধারায় নেয়ার অভিযোগ উঠে তখন। শিল্পপতিদের সহায়তায় বিএনপিকে ভাঙার ওই পদ্ধতিকে ক্ষমতাসীনরা এখন কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। চার দলের জোট সরকারের আমলে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল ইসলাম বাবুলকে গ্রেফতারও করে জোট সরকার। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দল ভাঙেনি। তত্বাবধায়কারের কাছে ক্ষমতা গেলে ভাঙনের কবলে পড়ে দলটি।
সূত্রমতে, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির প্রভাবশালী অর্ধশত নেতা বিএনএফে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনটিকে বিদেশিদের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য’ করা সহজ হবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা। এ লক্ষ্যেই বিএনএফকে তারা দাঁড় করিয়েছেন।
বিএনএফকে নিবন্ধন না দিতে গত ১১ জুলাই বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হলেও তা শোনেননি ক্ষমতাসীনরা। দলটিকে নিবন্ধন দিতে তিন দফায় সুযোগ দেয়া হয়, যা আইনেও নেই। এমনকি প্রাথমিক তদন্তে আবেদনকারী একাধিক দলের সাংগঠনিক অবস্থান বিএনএফের চেয়ে ভালো থাকা সত্ত্বেও কমিশন তাদের কোনো সুযোগ দেয়নি বলে কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানায়।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বনাশা এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিএনএফ নামক ভূঁইফোড় সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধকে বৈধতার সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ তিনি বিএনএফের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান।
যোগাযোগ করলে বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, ‘বিএনএফ কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। বিএনএফের নেতাকর্মীরাই দলটিকে সৃষ্টি করেছেন। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি বিএনএফের প্রতি ভালোবাসা দেখায়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
তবে আবুল কালাম আজাদ স্বীকার করেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনএফ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। বিএনএফের কাছে চমক আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অনেকে দলটির সঙ্গে আছেন। সময় হলে নাম প্রকাশ করব।’
গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বিএনএফ। নিবন্ধিত ৪২তম দল হিসেবে সোমবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন কমিশন থেকে সনদ নেন।
উৎস: প্রিয়দেশ
জানা যায়, এর আগে গত চার দলের জোট সরকারের আমলে বিএনপিকে ভাঙতে শত কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল শিল্পপতি, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে। বিএনপির পঞ্চাশ সংসদ সদস্যকে শত কোটি টাকা দিয়ে ডা. বদরোদ্দাজা চৌধুরীর বিকল্পধারায় নেয়ার অভিযোগ উঠে তখন। শিল্পপতিদের সহায়তায় বিএনপিকে ভাঙার ওই পদ্ধতিকে ক্ষমতাসীনরা এখন কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। চার দলের জোট সরকারের আমলে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল ইসলাম বাবুলকে গ্রেফতারও করে জোট সরকার। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দল ভাঙেনি। তত্বাবধায়কারের কাছে ক্ষমতা গেলে ভাঙনের কবলে পড়ে দলটি।
সূত্রমতে, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির প্রভাবশালী অর্ধশত নেতা বিএনএফে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনটিকে বিদেশিদের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য’ করা সহজ হবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা। এ লক্ষ্যেই বিএনএফকে তারা দাঁড় করিয়েছেন।
বিএনএফকে নিবন্ধন না দিতে গত ১১ জুলাই বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হলেও তা শোনেননি ক্ষমতাসীনরা। দলটিকে নিবন্ধন দিতে তিন দফায় সুযোগ দেয়া হয়, যা আইনেও নেই। এমনকি প্রাথমিক তদন্তে আবেদনকারী একাধিক দলের সাংগঠনিক অবস্থান বিএনএফের চেয়ে ভালো থাকা সত্ত্বেও কমিশন তাদের কোনো সুযোগ দেয়নি বলে কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানায়।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বনাশা এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিএনএফ নামক ভূঁইফোড় সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধকে বৈধতার সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ তিনি বিএনএফের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান।
যোগাযোগ করলে বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, ‘বিএনএফ কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। বিএনএফের নেতাকর্মীরাই দলটিকে সৃষ্টি করেছেন। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি বিএনএফের প্রতি ভালোবাসা দেখায়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
তবে আবুল কালাম আজাদ স্বীকার করেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনএফ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। বিএনএফের কাছে চমক আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অনেকে দলটির সঙ্গে আছেন। সময় হলে নাম প্রকাশ করব।’
গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বিএনএফ। নিবন্ধিত ৪২তম দল হিসেবে সোমবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন কমিশন থেকে সনদ নেন।
উৎস: প্রিয়দেশ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়