ঢাকা : নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে পরিবর্তন আনায় ব্যাংকটি ধ্বংস অবধারিত হলো। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
গত কাল মঙ্গলবার নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে বহুল আলোচিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন-২০১৩’ পাস হয়। নতুন আইনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি করা হয়েছিল গরীব মহিলাদের মালিকানায় এবং তাদের ব্যবস্থাপনায় একটা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এই আইনে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এই কারণেই গ্রামীণ ব্যাংক জাতিকে আন্তর্জাতিক সম্মানের সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পেরেছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখন সরকার এই আইন পরিবর্তন করে তাতে এমন সব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, যাতে সরকার এই ব্যাংককে শতভাগ নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে।
ড. ইউনূস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আইনের এই সংশোধনের ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্রে একটা মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসা হলো। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ধবংস অবধারিত হলো। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, কিছু অপরিনামদর্শী মানুষের বিবেচনাহীতার কারণে জাতির একটা পরম গৌরবের প্রতিষ্ঠানকে এই পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটি জাতিকে প্রত্যক্ষ করতে হলো।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে এখন আমাদের দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো অনিষ্ট হওয়ার আগেই দ্রুততম সময়ে আমরা এই আইনের পরিবর্তনগুলো বর্জন করে ফেলতে পারি। দেশের সকল মানুষ, গ্রামীণ ব্যাংকের সকল ঋণগ্রহীতা-মালিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ এবং ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে এ লক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
গত কাল মঙ্গলবার নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে বহুল আলোচিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন-২০১৩’ পাস হয়। নতুন আইনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি করা হয়েছিল গরীব মহিলাদের মালিকানায় এবং তাদের ব্যবস্থাপনায় একটা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এই আইনে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এই কারণেই গ্রামীণ ব্যাংক জাতিকে আন্তর্জাতিক সম্মানের সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পেরেছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখন সরকার এই আইন পরিবর্তন করে তাতে এমন সব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, যাতে সরকার এই ব্যাংককে শতভাগ নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে।
ড. ইউনূস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আইনের এই সংশোধনের ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্রে একটা মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসা হলো। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ধবংস অবধারিত হলো। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, কিছু অপরিনামদর্শী মানুষের বিবেচনাহীতার কারণে জাতির একটা পরম গৌরবের প্রতিষ্ঠানকে এই পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটি জাতিকে প্রত্যক্ষ করতে হলো।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে এখন আমাদের দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো অনিষ্ট হওয়ার আগেই দ্রুততম সময়ে আমরা এই আইনের পরিবর্তনগুলো বর্জন করে ফেলতে পারি। দেশের সকল মানুষ, গ্রামীণ ব্যাংকের সকল ঋণগ্রহীতা-মালিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ এবং ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে এ লক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়