ঢাকা : গাছ থেকে যদি সোনা পাড়তে বলা হয়, ঠাট্টা ভেবে হাসিতে ফেটে পড়বেন নিশ্চয়। সোনা কি গাছে ধরে নাকি, প্রশ্নকারীকেই উল্টো কুপোকাত করবেন নির্ঘাত। কিন্তু যদি শোনেন গাছে সোনা ফলার অনন্য নজির মিলেছে। তাহলে?
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একটি ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা ও বাকলে সামান্য হলেও সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, গাছটির চারপাশের মাটিতেও মিলেছে সোনার নমুনা৷
যদিও গাছটির ত্রিসীমানায় কোনও সোনার খনি নেই৷ তাহলে রহস্যটা কী? জবাব দিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ইউক্যালিপটাসের মূলের গঠনই এই 'অঘটনের' কারণ। পানির সন্ধানে ইউক্যালিপটাস গাছের শিকড় মাটির বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে৷ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ ১০ মিটার দীর্ঘ হলে তার শিকড় গাছটির দৈর্ঘ্যরে চারগুণ বড় হতে পারে৷ অস্ট্রেলিয়ার গাছটির ক্ষেত্রেও এ ঘটনাই ঘটেছে৷ জলের সন্ধানে গাছটির শিকড় মাটির যে গভীরতায় গিয়েছে সেখানে সম্ভবত সোনার খনি রয়েছে৷
সিএসআইআরও-র ভূবিজ্ঞানী মেল লিনটার্ন জানিয়েছেন, মাটির গভীরে যে স্তরে গিয়ে গাছটি পানির সন্ধান পেয়েছে সেখানে সোনার খনি রয়েছে। পানির সঙ্গে সঙ্গে সামান্য পরিমাণ সোনাও শোষণ করেছে গাছটি৷ আর তাই গাছটির পাতার শিরা-উপশিরায় এবং বাকলে পাওয়া গেছে সোনার সামান্য নমুনা৷
কিন্তু এভাবে পানির সঙ্গে কতটা সোনা শোষণ করতে পারে ইউক্যালিপটাসের মতো একটি গাছ? বিজ্ঞানীরা এ হিসেবও কষে দেখেছেন। তাদের দাবি, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনার খনির থাকলে তার ওপর যদি এমন ৫০০টি গাছ জন্মায় তাহলে সেই গাছের পাতা ও বাকলে যতটা সোনা সঞ্চিত হবে তা দিয়ে একটি আংটি তৈরি করা যেতে পারে৷
চমকপ্রদ এ ঘটনায় বেশ উৎফুল্ল অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন৷ গত ১২ বছরে সারা দুনিয়ায় সোনার দাম বেড়েছে হু হু করে৷ ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৩-র মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ৪৮২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সোনার দাম৷ একই সঙ্গে কমেছে সোনার সঞ্চয়ও৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেবে, সভ্যতার শুরু থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার টন সোনা উত্তোলন করা হয়েছে৷ গোটা পৃথিবীতে আর মাত্র ৫১ হাজার টন সোনা অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় নতুন একটি সোনার খনির খোঁজ আনন্দ কো দেবেই!---ডিনিউজ
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একটি ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা ও বাকলে সামান্য হলেও সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, গাছটির চারপাশের মাটিতেও মিলেছে সোনার নমুনা৷
যদিও গাছটির ত্রিসীমানায় কোনও সোনার খনি নেই৷ তাহলে রহস্যটা কী? জবাব দিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ইউক্যালিপটাসের মূলের গঠনই এই 'অঘটনের' কারণ। পানির সন্ধানে ইউক্যালিপটাস গাছের শিকড় মাটির বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে৷ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ ১০ মিটার দীর্ঘ হলে তার শিকড় গাছটির দৈর্ঘ্যরে চারগুণ বড় হতে পারে৷ অস্ট্রেলিয়ার গাছটির ক্ষেত্রেও এ ঘটনাই ঘটেছে৷ জলের সন্ধানে গাছটির শিকড় মাটির যে গভীরতায় গিয়েছে সেখানে সম্ভবত সোনার খনি রয়েছে৷
সিএসআইআরও-র ভূবিজ্ঞানী মেল লিনটার্ন জানিয়েছেন, মাটির গভীরে যে স্তরে গিয়ে গাছটি পানির সন্ধান পেয়েছে সেখানে সোনার খনি রয়েছে। পানির সঙ্গে সঙ্গে সামান্য পরিমাণ সোনাও শোষণ করেছে গাছটি৷ আর তাই গাছটির পাতার শিরা-উপশিরায় এবং বাকলে পাওয়া গেছে সোনার সামান্য নমুনা৷
কিন্তু এভাবে পানির সঙ্গে কতটা সোনা শোষণ করতে পারে ইউক্যালিপটাসের মতো একটি গাছ? বিজ্ঞানীরা এ হিসেবও কষে দেখেছেন। তাদের দাবি, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনার খনির থাকলে তার ওপর যদি এমন ৫০০টি গাছ জন্মায় তাহলে সেই গাছের পাতা ও বাকলে যতটা সোনা সঞ্চিত হবে তা দিয়ে একটি আংটি তৈরি করা যেতে পারে৷
চমকপ্রদ এ ঘটনায় বেশ উৎফুল্ল অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন৷ গত ১২ বছরে সারা দুনিয়ায় সোনার দাম বেড়েছে হু হু করে৷ ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৩-র মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ৪৮২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সোনার দাম৷ একই সঙ্গে কমেছে সোনার সঞ্চয়ও৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেবে, সভ্যতার শুরু থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার টন সোনা উত্তোলন করা হয়েছে৷ গোটা পৃথিবীতে আর মাত্র ৫১ হাজার টন সোনা অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় নতুন একটি সোনার খনির খোঁজ আনন্দ কো দেবেই!---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়