হাতের নাগালে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে চালু করা ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে (ইউআইসি) এখন তৃণমূলের বাতিঘরে পরিণত হয়েছে। এ তথ্যকেন্দ্রগুলোর চালিকা শক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন ১৮২ জন তরুণ-তরুণী।
উদ্যোক্তারা গত এক বছরে জেলার ৯১টি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ১ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৮ টাকা আয় করেছেন। উদ্যোক্তারা এখন প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর জেলার ৯১টি ইউনিয়নে চালু হয় ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র (ইউআইসি)। এতে ঘরে বসে সাধারণ মানুষ ১৩ খাতের ৫৭ প্রকার সেবা গ্রহণ করছেন। এতে কমে এসেছে জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দূরত্ব। ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৯১টি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জন বিভিন্ন প্রকার সেবাগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৪৪৭ জন নারী ও ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ। সেবা বাবদ উদ্যোক্তরা ১ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৮ টাকা আয় করেছেন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান জানান, গ্রামের মানুষ সহজেই স্বল্প খরচে সকল প্রকার নাগরিক সেবা গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন সেবা গ্রহীতার ভিড় থাকে। ইউআইসির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন, ফটোকপি, সার্ভিসিং, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, বিদেশে কথা বলা, জমির পড়চা তোলার আবেদনসহ ৫৭ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা বলেন, "প্রতিদিন ৫০-৬০ জন ইউআইসি থেকে সেবা গ্রহণ করছেন। আর প্রতিমাসে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা আয় করা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে কেন্দ্রের দুইজন উদ্যোক্তাই এখন সাবলম্বী হয়েছেন। তবে ইউআইসি বর্তমানে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।"
যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে সকল নাগরিক সেবা পাচ্ছেন। স্বল্প খরচে মানুষের হাতের নাগালে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউআইসি উদ্যোক্তরা কাজ করছে।"
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়