Wednesday, November 13

মানবতাবিরোধী অপরাধ: নিজামীর রায় যেকোনো দিন

ঢাকা : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে। 

বুধবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেয়।

গত বছরের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। এতে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, খুন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। পরে গত বছরে ২৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অভিযোগগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য: পাবনায় বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা ও ৭২টি বাড়িতে আগুন দেয়া; ডেমরা ও বাউশগাড়ী গ্রামে ৪৫০ জন নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা; ৩০ থেকে ৪০ জন নারীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেয়া এবং ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যায় সংশ্লিষ্টতা।

অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউটশন। এ বিষয়ে প্রসিকিউশন বিভাগ ৩৩৬ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। আর আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়।

আসামিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও সাফাই সাক্ষ্য শেষে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের উপস্থাপন জন্য দিন ঠিক করে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে বারবার সময়ের আবেদন করা হয়। পরে আগামী ৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় বেধে দিয়ে যেকোনো দিন রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে ট্রাইব্যুনাল।

নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে দশম রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আসামিপক্ষ অভিযোগ করেছে, তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য অপেক্ষ্যমান রাখে। এতে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

নিজামী একাত্তরে ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পর জামাতের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের হত্যায় উঠে পড়ে লাগেন তিনি। আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে বৃহত্তর পাবনা এলাকায় মানুষ হত্যার তাণ্ডবলীলায় মেতে ওঠেন।----ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়