নোয়াখালী: নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে বিএনপির,জামায়াত ও আওয়ামী লীগের মধ্যে দফায় দফায় ত্রি-মুখি সংঘর্ষে জেলা শহর রনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ১৮ জোট ও মহাজোটের বিক্ষোভ-সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। বিএনপির, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে জেলা পুলিশ সুপারসহ ১৭ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধ-শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরিশ প্রায় ৫’শ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এক পুলিশ সদস্যসহ ৯ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, হঠাৎ করে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা পৌর বাজার থেকে তত্ত্বাবদায়ক সরকারের দাবীতে ও দেশব্যাপী সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নিয়ে শহরের পৌরসভার দিকে রওয়ানা হয়। এসময় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অপর একটি মিছিল নিয়ে শহরের টাউনহল মোড়ে পৌছলে বিএনপি,জামায়াত ও আওয়ামীলীগের কর্মিদের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ওপরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষুব্দ নেতা কর্মীরা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ করে। এতে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়সহ আশ পাশ্বের অন্তত আরো ১২টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে যায়। একই সময় তারা অন্তত ৮/১০ মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করে। এবং পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালে দুইপক্ষের কর্মীরাই পরস্পরকে লক্ষ করে গুলি ও ইটপাটকেল ছোঁড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। জেলা পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়