আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সরকার ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের বহু আগে আগে থেকেই বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি শুরু করেছিল। এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলিও এ গোয়েন্দাবৃত্তির হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক এজেন্ট সুসান লিন্ডাউর। তিনি বৃহস্পতিবার ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, “আমরা এসব মানুষের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালাই। আমরা রাষ্ট্রদূতদের কর্মততপরতার ওপর চোখ রাখি। আমরা সিনিয়র কূটনীতিকদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করি এবং এটি আমরা করে আসছি বহু বছর ধরে।”
এর আগে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান বৃহস্পতিবার জানায়, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা- এনএসএ বিশ্বের ৩৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের টেলিফোন কথোকপথনের ওপর আড়ি পেতে রেখেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক দফতর হোয়াইট হাউস, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়- পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনএসএ’কে এসব রাষ্ট্রনায়কদের টেলিফোন নম্বর সরবরাহ করেছে।
লিন্ডাউর প্রেস টিভিকে জানান, “সিআইএ’র একজন সাবেক সদস্য হিসেবে আমার কাছে সবচেয়ে যে বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হয়েছে তা হলো, আমরা জাতিসংঘের সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সব সময় নজরদারির মধ্যে রাখতাম। গত ১০ বছরে এটি ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এমনকি ৯/১১-এর ঘটনার আগেও আমরা এ কাজ করতাম।"
বর্তমানে লিন্ডাউর একজন যুদ্ধবিরোধী কর্মী। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন আর আমেরিকার এ ধরনের অপরাধ মেনে নিতে রাজি নয়; কারণ, মার্কিন সরকার এত বেশি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে যে, এটি বিশ্বের ওপর নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব হারিয়ে ফেলেছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়