রোববার হরতালের প্রথম দিনে পাবনার মুলাডুলিতে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে শিবিরকর্মী জুলহাস উদ্দিন মুন্নাফ (৩৫), যশোরে বিএনপি-জামায়াতের হামলায় নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন শিমুল (৩৫), ফরিদপুরে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী মারুফ হোসেন (৩৮), পিরোজপুরে জিয়ানগরের বানিয়ায় যুবলীগকর্মী স্বপন শীল (২৫) ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন (৩৬) নিহত হন।
এর মধ্যে যুবলীগ কর্মী স্বপন শীলকে শিবিরকর্মীরা বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পেটানোর আগে তার পায়ের রগ কাটা হয়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সীতাকুণ্ডের মোসলেম উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের বিভিন্নস্থানে সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংস ঘটনায় আহত হন পুলিশসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
জামালপুরের ইসলামপুরে রামভদ্রা বাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে শাহাদাত (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পিকেটারের ঢিলের আঘাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক খাদে পড়ে চালক মো. ওয়াসিম (৩০) নিহত হন।
হরিণাকুণ্ডুর দখলপুর বাজারে বোমা হামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হোসেনকে (৪৫) আহত করা হয়। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাসেন আলী (৩৫) নামে বিএনপি কর্মী নিহত হন। চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরানবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী আরজু (১৬) নিহত হয়।
হরতালের শেষ দিনে মঙ্গলবার মাগুরার মোহাম্মদপুরের ধোয়াইলবাজারে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে মারুফ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় বিএনপির নয় কর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়