আমতলী (বরগুনা): আমতলীর মাঠ ঘাট এখন সবুজের ছড়াছড়ি। যে দিকে দু’ চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের এ সমারোহ দেখে কৃষকরা আনন্দদিত। তাদের চোখে মুখে এখন আনন্দের ঝিলিক।
কেননা আর কিছুদিন পরেই সবুজের এ সমারোহ থেকে তাদের গোলায় আসবে নতুন ধান। নতুন ধানের স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা। খেতে ফসলের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এ বছর আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরাও মনে করছেন তাই।
আমন মৌসুমের শুরুতে অতি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছাসে বীজ তলা নষ্ট হওয়ার পরও কৃষকরা তাদের এবং কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় আমনের চারা ভালো ভাবে লাগানোর কাজ শেষ করায় এখন ভাল ফলনের আশা করছেন তারা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর আমতলী উপজেলায় ৩৭ হাজার ৮শ’হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে উচ্চ ফলন শীল জাতের চাষ হয়েছে ১২ হাজার৪৫০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের রাজাশাইল ও মোটা ধানের চাষ হয়েছে ২৫হাজার ৩শ’৫০ হেক্টর জমিতে। তাছাড়া এখানে কুটি আগ্নি, কালো জিরা, নাজির সাইল, চিনি খোরা সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে।
গত বছর আমতলী উপজেলায় ৩৮ হাজার ২শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করে ৬৮ হাজার ৬ শ’৮২ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছিল।
চলতি বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ। ফসলের খেতে কৃষকের পরিচর্যা, সার সরসরবরাহ স্বাভাবিক ও মৌসুমের শেষ বৃষ্টি পাতের কারনে ধান ক্ষেতের চেহারা পাল্টে যায়। সময়মত পানি পাওয়ায় ধানের গোছা দ্রুত বৃদ্দি পেয়ে কৃষকের মনে ভাল ফলনের আশা জাগিয়েছে।
বিআর ১১ এবং বিআর ৩২ এর শীষ বের হয়েছে। কৃষকরা অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে আগাম চাষ করায় চলতি মাসের শেষের দিকে এ ফসল কাটতে পারবে। এ জাতের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। হলদিয়ার কৃষক মো.আলম বেপারী বলেন, ফলন ভালো হওয়ায় একর প্রতি ৬৫ থেকে ৭৫ মন ধান পাওয়া যাবে। এ আশায় উদ্বেলিত কৃষকরা । সিডরের পর অত্র অঞ্চলে আমনের ফলন এভাবে আর দেখা যায়নি।
চাওড়ার কৃষক মো.মহসিন বলেন, ভাল ফলন দেইখ্যা মনের মধ্যে খুব ভাল লাগে, আবার ডরও লাগে কোন হান দিয়া বইন্যা আহে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে কৃষকের সাথে কৃষিবিদরাও আমতলীতে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শাহ আলম জানান, সামনে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে এবছর কৃষকের ভাগ্য বদল হবে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
সাফল্য
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়