পাবনা: তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত পরীক্ষা না নেওয়ায় সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রক্টরসহ ৫ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষকরা। জানা গেছে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিলো। বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থী অংশ না নিলেও হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়।
উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে আসা সাধারণ শিক্ষকরা হলে গিয়ে প্রশ্নপত্র চাইলে কন্ট্রোলার অফিস থেকে গুটিকয়েক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে তাদের অনুপস্থিত দেখানোর পরামর্শ দেন। এতে সাধারণ শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হন।
তারা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কন্ট্রোলার অফিসকে বারবার তাগাদা দিয়েও প্রশ্নপত্র না পেয়ে এক পর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ডেপুটি কন্ট্রোলার সোহরাব হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ কবির ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার সরকারকে ডেপুটি কন্ট্রোলারের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ বিষপ্রেণাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেহেতু পরীক্ষা স্থগিত করেনি, সে কারণে একজন পরীক্ষার্থী হলে উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষা নেওয়ার কথা। অথচ কর্তৃপক্ষ সে পরীক্ষা না নিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণে সাধারণ শিক্ষকরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন।তিনি আরও জানান, আমাদের দাবি সোমবারের পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।এই প্রশ্নে আর পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা। আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রক্টরসহ ৫জন শিক্ষক অবরুদ্ধ ছিলেন।অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ছাত্রদের কাছে বারবার পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করার পরেও তারা পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় সবাইকে অনুপস্থিত ঘোষণা করা হয়েছে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহম্মদ মোজাজফফর হোসেনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়