আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সঙ্গে নিজেদের সাম্প্রতিক জেনেভা বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ব্যাখ্যা দিতে তেল আবিবে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ রোববার এ খবর জানিয়ে বলেছে, আমেরিকা ও ব্রিটেনের আগে ফরাসি ও জার্মান কর্মকর্তারা তেল আবিবে ফোন করে একই কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এদিকে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরবর্তী জেনেভা বৈঠকের খুঁটিনাটি জানতে ইসরাইলের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল এখন ওয়াশিংটন সফর করছে। এ প্রতিনিধিদলে ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পররাষ্ট্র ও যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকার সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কথা বিবেচনা করে যে কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো তাদের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নিজ দেশের স্বার্থের চেয়ে ইসরাইলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। এসব দেশের রাজনীতিতে ইহুদিবাদী লবি এবং ইহুদিবাদীদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের প্রভাব এত বেশি যে, তাদের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসা একরকম অসম্ভব বলে পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন। তাই ক্ষমতায় এসেই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষাকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের বৈঠকে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়। সেখানে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে একটি নতুন প্রস্তাবনা তুলে ধরে এবং এ প্রস্তাবের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দু’পক্ষ আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর আবার জেনেভায় মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দু’পক্ষ আরো জানায়, আপাতত তারা ইরানের প্রস্তাবের বিষয়বস্তু গোপন রাখবে।
কিন্তু পাশ্চাত্যের এসব দেশের সরকারগুলো ইসরাইলের কাছে এত বেশি বিক্রি হয়ে গেছে যে, তারা জেনেভা বৈঠকের বিষয়বস্তু তেল আবিবকে কে কার আগে জানাবে তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। জার্মানী ও ফ্রান্স টেলিফোন করে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে। এ অবস্থায় ব্রিটেন ও আমেরিকা টেলিফোন করলে ‘বেয়াদবি’ হয়ে যেতে পারে ভেবে সরাসরি তেল আবিবে প্রতিনিধি পাঠিয়ে এ সম্পর্কে ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়