ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে ২৯টি নাগরিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপ ফলাফলে বলা হয়, দেশের ১১৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সেনাবাহিনী নিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এর কারণ হিসেবে ওই উত্তরদাতাদের ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন, সেনাবাহিনী ছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষতাসম্পন্ন নয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ আবার এও মনে করেন যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেনাবাহিনী ছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এতে বলা হয় গত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ১১৮টি সংসদীয় এলাকায় পরিচালিত জরিপে সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি, রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা, নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী ইত্যাদিসহ মোট নয়টি প্রশ্ন করেছিলেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। আর এই জরিপে সমাজের নানা শ্রেণীপেশার প্রায় ১৮শ’ মানুষ অংশ নেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫ শতাংশ মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সবশেষ যে সীমানা পুননির্ধারণ করেছে, সেখানে কোনো দল বা পরে প্রতি আনুগত্য প্রাধান্য পেয়েছে। নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী প্রসঙ্গে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সেনাবাহিনীকে বাদ দেয়ার বিপে মতামত দিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়