ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮ দলের ডাকা হরতালের ২য় দিন জেলা শহরে প্রকাশ্যে সশস্ত্র মিছিল করেছে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। মিছিলে রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লগি, বৈঠাসহ ধারালো অস্ত্র শস্ত্র এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগ উঠেছে। এসব অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শহরের প্রকাশ্যে মিছিল করছে তাঁরা। সরকার বিরোধী ছাত্রদলের কর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেছে শহরে। এসব ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে প্রচন্ড উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতংক বিরাজ করছে। হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মী হিমেল ছাত্রদল কর্মীদের ককটেলের আঘাতে আহত হওয়ার কিছুক্ষণ পর জঙ্গি মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। ছাত্রদল কর্মী সন্দেহে এক কিশোরকে পিটিয়ে আহত করে তাঁরা। ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে সশস্ত্র মিছিলটি শহরের মৌলভীপাড়া ও হালদার পাড়ায় প্রবেশ করে বন্ধ থাকা দোকানপাট ও বাসা-বাড়ি এবং একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে হামলা চালায়। এতে বাসাবাড়িসহ ২০ দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় আবাসিক এলাকার লোকজন আতংকে এদিওদিক ছুটাছুটি শুরু করে। আধাঘন্টাব্যাপী জঙ্গি মিছিলের তান্ডবকালে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুঁড়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এসব ঘটনায় অন্তঃত ১৭ জন আহত হয়। পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর অবস্থান নেয়। বিএনপি সমর্থকরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় আধ ঘন্টাব্যাপী সংঘষে বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহম্মেদ, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিনসহ ১৫ জন আহত হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়