ঢাকা : ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকে সভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় চারজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করলে বিএনপি কর্মীদের ওপর পুলিশ ও বিজিবি গুলি বর্ষণ করে। এতে ৩ বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া, অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে।
চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র হায়দার আলী দাবি করে জানান, বিজিবির গুলিতে বাদশা মিয়া (৩০), মিজানুর রহমান (২৫) ও শাহেদ (৩৫) নামে বিএনপির তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের গুলিতে আরিফ (২৮) নামে এক বিএনপিকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে একটি মিছিল বের করে বিএনপি। এসময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে
এর আগে দুপুর ১২টার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৮ দলের মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলায় শফিকুল ইসলাম নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত হন।
এদিকে, সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর শিয়ালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এতে কৃষকদলের জেলা সভাপতি আবদুর রব হাওলাদার, পৌর যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।এদের মধ্যে জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবদুর রব হওলাদার ও যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেনকে আশঙ্কজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, পটুয়াখালীর বাউফল ও গলাচিপা উপজেলায় বিরোধী দলের কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে জয়দেবপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। হতাহতের খবর জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলালহাট এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার মুক্তমঞ্চে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাজধানীতে আজ সকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরকর্মী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে আহত আবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বেলা ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জিগাতলার বাসার ফটকের সামনে হাতবোমা ফাটানো হয়।
দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিমের ধানমন্ডির বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরে শুক্রবার সকালে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষুব্ধ জনতা বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিআরডিবি)অফিসে আগুন দিয়েছে।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী গণগ্রেফতার চলছে। গত দু’দিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও বিভিন্ন জেলায় বিএনপি, জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনের সাড়ে চার হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স সূত্রে জানা গেছে।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় আতঙ্কিত নাগরিকদের একজন আইটি প্রফেশনাল দিনা খাদিজার আশঙ্কা- রাজনৈতিক সংঘাত আরো বাড়বে। তবুও একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে তিনি কামনা করেন যাতে এ পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটে।
সমূদ্র উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর একজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান একই রকম আশঙ্কা করে বলেন, এখনো সংসদে বসে আলোচনা করে সংকটের সমাধান করা সম্ভব।
তবে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সংশয় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা খুব কম তাই রাজনীতি সংঘাতের পথেই পরিচালিত হবে।
এ অবস্থায় শান্তিপ্রিয় নাগরিকদেরও তাদের অবস্থান ঠিক করতে হবে। তারা কী নিরব দর্শকের ভূমিকা নিয়ে সংঘাতের শিকার হবেন, নাকি তারা এ সংঘাত থেকে বাঁচার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নেবেন।---ডিনিউজ
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করলে বিএনপি কর্মীদের ওপর পুলিশ ও বিজিবি গুলি বর্ষণ করে। এতে ৩ বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া, অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে।
চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র হায়দার আলী দাবি করে জানান, বিজিবির গুলিতে বাদশা মিয়া (৩০), মিজানুর রহমান (২৫) ও শাহেদ (৩৫) নামে বিএনপির তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের গুলিতে আরিফ (২৮) নামে এক বিএনপিকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে একটি মিছিল বের করে বিএনপি। এসময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে
এর আগে দুপুর ১২টার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৮ দলের মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলায় শফিকুল ইসলাম নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত হন।
এদিকে, সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর শিয়ালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এতে কৃষকদলের জেলা সভাপতি আবদুর রব হাওলাদার, পৌর যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।এদের মধ্যে জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবদুর রব হওলাদার ও যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেনকে আশঙ্কজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, পটুয়াখালীর বাউফল ও গলাচিপা উপজেলায় বিরোধী দলের কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে জয়দেবপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। হতাহতের খবর জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলালহাট এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার মুক্তমঞ্চে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাজধানীতে আজ সকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরকর্মী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে আহত আবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বেলা ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জিগাতলার বাসার ফটকের সামনে হাতবোমা ফাটানো হয়।
দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিমের ধানমন্ডির বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরে শুক্রবার সকালে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষুব্ধ জনতা বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিআরডিবি)অফিসে আগুন দিয়েছে।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী গণগ্রেফতার চলছে। গত দু’দিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও বিভিন্ন জেলায় বিএনপি, জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনের সাড়ে চার হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স সূত্রে জানা গেছে।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় আতঙ্কিত নাগরিকদের একজন আইটি প্রফেশনাল দিনা খাদিজার আশঙ্কা- রাজনৈতিক সংঘাত আরো বাড়বে। তবুও একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে তিনি কামনা করেন যাতে এ পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটে।
সমূদ্র উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর একজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান একই রকম আশঙ্কা করে বলেন, এখনো সংসদে বসে আলোচনা করে সংকটের সমাধান করা সম্ভব।
তবে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সংশয় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা খুব কম তাই রাজনীতি সংঘাতের পথেই পরিচালিত হবে।
এ অবস্থায় শান্তিপ্রিয় নাগরিকদেরও তাদের অবস্থান ঠিক করতে হবে। তারা কী নিরব দর্শকের ভূমিকা নিয়ে সংঘাতের শিকার হবেন, নাকি তারা এ সংঘাত থেকে বাঁচার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নেবেন।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়