Wednesday, October 23

এডভোকেট কামরুল না শাহীন আহমেদ


ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-সাভার) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া জরিপ প্রতিবেদনে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনপ্রতিমন্ত্রীর কামরুল ইসলামের অবস্থা খুব বেশি ভাল নয় বলেও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। তাই তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে শাহীন আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ নেই কামরুল ইসলামের। কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম জানলেও অনেককেই চেনেন না তিনি। এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ কম নয়। বিগত সময়ের তুলনায় গত পাঁচ বছরে খুব বেশি দৃশ্যমান উন্নয়নও হয়নি এলাকায়। সবমিলিয়ে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা গত পাঁচ বছরে অনেকটাই কমে গেছে। তাই আগামী নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিলে ওই আসন আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হতে পারে। তবে তার পরিবর্তে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-২ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহীন আহমেদকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলের জন্য ভাল হবে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।  
 
দলের স্থানীয় নেতারা জানান, দীর্ঘ ৩২ বছর পর গত সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এর আগে ওই আসনটি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংসদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরিবর্তে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ কামরুল ইসলাম স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ কম হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এলাকার সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ না থাকায় দুরত্ব আরো বেড়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে ওই আসনে প্রার্থী মনোনয়নে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা-২ আসনের সাংসদ ও আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম  বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাদের নাম গিয়েছে আমি জানি না। তবে আমি গত পাঁচ বছরে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। নেত্রী (শেখ হাসিনা) এসব বিষয়ে অবশ্যই খবর রাখেন। তাই আগামীতে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’  
 
তবে আগামী নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেলে প্রার্থীতার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।  তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে সব ধরনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি আমার আছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে । নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দিতে চান আমি রাজি আছে।’
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘কামরুল ইসলামকে আগামীতে মনোনয়ন দেয়ার পর তিনি হেরে গেলে আর এলাকায় আসবেন না। আবার জয়ী হলেও আগামী পাঁচ বছর পর বয়সের কারণে কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগে খুব বেশি অবদান তিনি রাখতে পারবেন না। তাই স্থানীয় কাউকে ওই আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ মেয়াদে তার সুফল পাবে।’ ---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়