ঢাকা: ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, তেহরানের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয় তা তেহরান ভাল করে জানে বলেও ঘোষণা করেছে ইরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত খোদাদাদ সেইফি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি নেতানিয়াহুর এ ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্যকে ‘দম্ভ দেখানোর’ অপকৌশল হিসেবে উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ শেষ করার পরপরই এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সেইফি। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু গত বছরের মতো এবারও জাতিসংঘকে অবজ্ঞা করে ইরানের বিরুদ্ধে নিজের দম্ভ প্রকাশ করেছেন।
ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইসরাইল যেন ইরানে হামলা চালানোর মতো মারাত্মক ভুল না করে। ইরানের পাল্টা হামলা সহ্য করার অবস্থা তেলআবিবের নেই- একথা উল্লেখ করে সেইফি বলেন, “ইসরাইল যেন ইরানে হামলা চালানোর কথা কল্পনাও না করে।”
মঙ্গলবার নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তার বহু পুরনো দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “ইসরাইল ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না। এ কাজে যদি ইসরাইলকে একা দাঁড়াতে হয় তাহলেও সে একাই দাঁড়িয়ে যাবে।”
তার এ দাম্ভিক বক্তব্যের জবাবে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত বলেন, পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে যদি কারো কিছু শেখার থাকে তবে সে ইসরাইল। কারণ, তেলআবিব এনপিটি চুক্তিতে সই করেনি এবং নিজের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার পরিদর্শনের অনুমতি জাতিসংঘকে দেয়নি। কিন্তু ইরান এনপিটিতে সই করার পাশাপাশি নিজের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি জাতিসংঘের পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছে।
খোদাদাদ সেইফি একইসঙ্গে ইসরাইলের হামলার হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, তেলআবিবের বিপরীতে ইরান একটি শান্তিপূর্ণ দেশ এবং গত কয়েকশ’ বছরে তেহরান অন্য কোনো দেশের ওপর আগ্রাসন চালায়নি। তবে বহিঃশত্রুর আক্রমণের শিকার হলে তার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্যও ইরান প্রস্তুত রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়