রংপুর: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, ২৫ অক্টোবর থেকে দেশ চলবে বেগম জিয়ার নির্দেশে। ২৪ অক্টোবরের পর অবৈধভাবে দেশ চালাতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা তত্তাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করেছে। আমরা সেটা মানিনা। ১৮ দল সেটা মানেনা। শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শয়তানের অধিনে নির্বাচন হতে পারে কিন্তু শেখহাসিনার অধিনে নয়। বুধবার দুপুরে নগরীর তিলোত্তমা হোটেলে মহানগর জাগপার প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর মহানগর জাগপার প্রধান সমন্বয়ক নুরু আলম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলা সভাপতি খন্দকার আবেদুর রহমান, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম, যুবজাগপার কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন, রংপুর জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান স্যান্ড, সাংগঠন সম্পাদক শেখ শাহিন, মহানগর সদস্য সচীব আব্দুল মজিদ লাভলু, যুব জাগপা সভাপতি হানজালা ইসলাম জুয়েল, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করে বলেন, ২৫ অক্টোবর পর কোথায় যাবেন। পালাবার পথ পাবেন না। সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতে পারবেন না। সীমান্ত ঘিরে রাখা হবে। লাফিয়েও পার হতে পারবেন না। আপনার ডান বামে কেউ থাকবে না। আপনার বাবা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব কাউকে পাশে পায় নাই। আপনিও পাবেন না। তাই সময় আছে দাবী মেনে নিন।
প্রধান বলেন, ভারত চায় না বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হোক। এ কারণে তারা ২৫ হাজার লোককে গার্মেন্টস এ ঢুকিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ শিল্পকে ধবংস করতে চায়। তিনি দাবী করে বলেন, এই ২৫ হাজার ভারতীয় কর্মীকে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তারাই এ শিল্পকে ধবংস করতে চায়। শেখ হাসিনা সে জন্য তাদের সহযোগীতা করছে।
প্রধান বলেন, দিল্লির ইন্ধনে পিলখানায় আমার দেশের ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভারত সীমান্তে আমার মা ফেলানীকে হত্যা করে কাটাতারের বেড়ায় ৪ ঘন্টা ঝুলিয়ে রেখেছে। ফেলানী পানি পানি করে চিৎকার করেছে। তাকে পানি দেয়া হয়নি। ফেলানীর চিৎকারে আল্লার আরশ কেপেছে, কিন্তু হাসিনার মন কাপেনি। হাসিনা প্রতিবাদ করে নাই। তিনি বলেন, হাসিনার ভাবনা খানা এমন যেন এটা তার বাপদাদার সম্পত্তি। আমরা ভারতের কাছে মাথা নথ করবো না।
পাট ছিল বাংলার রাজা। পাকিস্তান থাকতেও পুর্বপাকিস্তানে ছিল পাট রাজা। কিন্তু হাসিনা সেই রাজা পাটকে ধবংস করেছে। এবার ধবংস করতে নেমেছে গার্মেন্টসকে। কারণ আজকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করেছে আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। সেই গার্মেন্টসকে একের পর এক রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে ধবংস করার চেষ্টা করছে শেখ হাসিনা।
প্রধান অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার আমলে মন্দিরে হামলা হয়, মুর্তি ভাঙ্গে, মাদ্রাসায় হামলা চালায়। যারা প্রতিবাদ করে তাদের বাতি নিভেয়ে গুলি করে হত্যা করে। বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এর প্রতিশোধ নিবে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা মক্তব মাদ্রাসা বন্ধ করেছিল। আবারও মাদ্রাসা মক্তব বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। মক্তব মাদ্রাসা বন্ধ হলে আমরাও ক্ষমতার দরজা বন্ধ করে দেব।
মুফতি ইজহারুলকে রাসুল সা: এর খাদেম উল্লেখ করে প্রধান বলেন, মাদ্রাসায় আগুন ধরলো। সারাদিন টিভিতে প্রকাশ হলো। আর যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমের নেতৃত্বে মিছিল হওয়ার পর সেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলো। এটা হাসিনার চক্রান্ত। তিনি বলেন, বিশ্বজিৎকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো। কই হাসিনা সেটি বন্ধ ঘোষনা করলেন। রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিবিরের নেতা কর্মীদের প্রকাশ্যে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো। কই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হলো। কিন্তু মুফত ইজহারুলের মাদ্রাসায় অগ্নিকান্ডে সেটি বন্ধের পায়তারা চলছে। আমরা এটি মানি না।
প্রধান আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নি:শর্ত মুক্তি এবং পত্রিকা খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে বলেন, কি অপরাধ ছিল সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের। তিনি তো সরকারের সমালোচনা করেছেন মাত্র। তার মত একজন সম্পাদককে পিস্তল ঠেকিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাসিনাকে উল্লেখ করে বলেন, আমরা আপনাকেও গ্রেফতার করে জেলে নেব। তবে পিস্তল ঠেকিয়ে নয়। আইনের মাধ্যমে। প্রধান মাহমুদুর রহমান, সালাউদ্দিন কাদেরী, আল্লামা সাঈদী, নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ সকল রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবী করেন।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়