মিরসরাই(চট্টগ্রাম): ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ হলো মুসলিম পরিবারের সুন্দরীদের নিয়ে নতুন ধরনের এক প্রতিযোগিতা। ইন্দোনেশিয়া আয়োজিত এবারের ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’য় নাইজেরিয়ার দু জন, আর মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি বাংলাদেশেরও একজন করে প্রতিযোগী আছেন সেখানে। বাংলাদেশের হয়ে ‘মিস মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিততে জাকার্তায় গিয়েছেন ২১ বছর বয়সী তরুণী নাজনিন সুলতানা লিজা।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার ফিরোজ আলম ও জমিলা আক্তারের তিন মেয়ে এক ছেলে মধ্যে লিজা সবার বড়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লিজা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় পুরো এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
বুধবার লিজা জাকার্তায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর ১০০ সুন্দরী মেয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। সর্বশেষ ২০ জনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে। এবারের ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২ কোটি ৫০ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ান রূপিয়া, অর্থাৎ ২,২০০ ডলার। এর বাইরে বিশেষ আকর্ষণ, সৌদি আরবে হজ করা এবং তুরস্ক ও ভারতে আনন্দভ্রমণের সুযোগ।
নাজনিন সুলতানা লিজা ইন্দোনেশিয়া থেকে টেলিফোনে জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেন। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে অংশ নিয়ে সে এখন সেরা ২০ জনের মধ্যে অবস্থান করছেন। লিজা ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিজা বলেন, “প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব খুশি৷ এটা মিস ওয়ার্ল্ড-এর চেয়ে আলাদা কারণ, ওখানে বাইরের সৌন্দর্যটা বেশি প্রাধান্য পায়না এখানে ভেতরের সৌন্দর্যটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷”
লিজার মা জমিলা আক্তার বলেন, “লিজার সহপাঠী তৃনার বড় বোন জেবার মাধ্যমে সে প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছে। জেবা তিন বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য লিজাকে উৎসাহ দেয় জেবা। প্রাথমিকভাবে লিজার ছবি ইন্দোনেশিায় পাঠালে সে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়। আসা-যাওয়ার খরচ বহন করছেন প্রতিযোগিতার আয়োজকরা।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, লিজা শুধু মিরসরাই নয় দেশেরই গর্ব। আমি আশা করব সে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে। যা আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এখানে অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হিজাব পরতে হবে আর স্মার্ট, ধার্মিক এবং স্টাইলিশ হতে হবে। এসব গুণের প্রমাণ হিসেবে নিজের সম্পর্কে একটা রচনা লিখে পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের নানা দেশের মুসলিম মেয়েরা। সঙ্গে ছিল একটা ভিডিও, যাতে প্রতিযোগীরা কোরান তেলাওয়াতের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। সেসব দেখেই ১০০ জন আবেদনকারীকে সেমি ফাইনালের জন্য বেছে নেন বিচারকরা। ফাইনালে উঠেছেন ২০ জন। বিজয়িনীর নাম ঘোষণা করা হবে বুধবার, জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় গ্র্যান্ড ফাইনাল শেষে।---ডিনিউজ
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার ফিরোজ আলম ও জমিলা আক্তারের তিন মেয়ে এক ছেলে মধ্যে লিজা সবার বড়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লিজা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় পুরো এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
বুধবার লিজা জাকার্তায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর ১০০ সুন্দরী মেয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। সর্বশেষ ২০ জনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে। এবারের ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২ কোটি ৫০ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ান রূপিয়া, অর্থাৎ ২,২০০ ডলার। এর বাইরে বিশেষ আকর্ষণ, সৌদি আরবে হজ করা এবং তুরস্ক ও ভারতে আনন্দভ্রমণের সুযোগ।
নাজনিন সুলতানা লিজা ইন্দোনেশিয়া থেকে টেলিফোনে জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেন। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে অংশ নিয়ে সে এখন সেরা ২০ জনের মধ্যে অবস্থান করছেন। লিজা ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিজা বলেন, “প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব খুশি৷ এটা মিস ওয়ার্ল্ড-এর চেয়ে আলাদা কারণ, ওখানে বাইরের সৌন্দর্যটা বেশি প্রাধান্য পায়না এখানে ভেতরের সৌন্দর্যটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷”
লিজার মা জমিলা আক্তার বলেন, “লিজার সহপাঠী তৃনার বড় বোন জেবার মাধ্যমে সে প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছে। জেবা তিন বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য লিজাকে উৎসাহ দেয় জেবা। প্রাথমিকভাবে লিজার ছবি ইন্দোনেশিায় পাঠালে সে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়। আসা-যাওয়ার খরচ বহন করছেন প্রতিযোগিতার আয়োজকরা।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, লিজা শুধু মিরসরাই নয় দেশেরই গর্ব। আমি আশা করব সে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে। যা আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এখানে অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হিজাব পরতে হবে আর স্মার্ট, ধার্মিক এবং স্টাইলিশ হতে হবে। এসব গুণের প্রমাণ হিসেবে নিজের সম্পর্কে একটা রচনা লিখে পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের নানা দেশের মুসলিম মেয়েরা। সঙ্গে ছিল একটা ভিডিও, যাতে প্রতিযোগীরা কোরান তেলাওয়াতের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। সেসব দেখেই ১০০ জন আবেদনকারীকে সেমি ফাইনালের জন্য বেছে নেন বিচারকরা। ফাইনালে উঠেছেন ২০ জন। বিজয়িনীর নাম ঘোষণা করা হবে বুধবার, জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় গ্র্যান্ড ফাইনাল শেষে।---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়