ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রবাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বিকশিত করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্যে। গণতন্ত্র ব্যাহত হলে বাংলাদেশ আবারো পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির এই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটি গঠনের লক্ষ্যে লন্ডনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বিতীয় দফা বৈঠক ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ই তারেক রহমান এসব কথা বলেন।তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন যে, সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ৩ কর্মকর্তা এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি ঐ বৈঠকে অংশ নেন।
তারেক রহমানের ডাকে ২৯ আগস্ট রাতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লন্ডনে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শরাফত হোসেন বাবু (তারেক রহমানের স্ত্রীর খালাতো ভাই) ২৪ আগস্ট নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন থেকে হাওয়া ভবনের কঠোর সমালোচনা করেন এবং ঘোষণা দেন যে, 'তারেক রহমানকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি হাওয়া ভবনের বিতর্কিতদের সাথে থাকবেন নাকি আমার মতো কর্মীদের সঙ্গে থাকবেন।' এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শরাফত হোসেন বাবু বিএনপির সংশ্রব ত্যাগের হুমকিও দেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মেয়াদ ৬ বছর আগে শেষ হয়েছে এবং শরাফত হোসেন বাবু, জিল্লুর রহমান জিল্লুর নেতৃত্বে বিএনপির ব্যানারে পাল্টা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর বেগম খালেদা জিয়া নিউইয়র্ক সফরকালে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। দীর্ঘ দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভেদ-বিভক্তির অবসানের দাবি রয়েছে নেতা-কর্মীর মধ্যে। সে দাবির পরিপূরক হিসেবে তারেক রহমান ডেকেছেন ঐ ৩ নেতাকে। সর্বশেষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটি গঠনের আলোচনা প্রাধান্য পায়। ইমিধ্যেই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি তালিকা তৈরী করেছেন তারেক রহমান। তাদের সমন্বয়েই গঠিত হতে পারে নয়া কমিটি। ঐ কমিটিতে শরাফত হোসেন বাবু এবং বেলাল মাহমুদ ছাড়া সকলেই স্থান পাবেন বলে লন্ডনের একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা এনাকে জানায়। তবে বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাটকে কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক অথবা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রধান উপদষ্টো করা হতে পারে। নয়া কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এমন সংগঠকদের ঠাঁই হতে পারে যারা বিএনপির জন্যে সময় দিতে পারবেন এবং মূলধারায় লবিংয়ের সামর্থ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১/১১ পরবর্তী সময়ে জেনারেল মইন এবং ড. ফখরুদ্দিনের সাথে গোপন সম্পর্ক রেখেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কার্যক্রমের সাথে একাত্ম প্রকাশ না করে পাল্টা কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ কর্মীদের বিভ্রান্ত করেছেন, জিয়া পরিবারের কঠোর সমালোচনা করে পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন-এমন লোকজনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন তারেক রহমান-সূত্রগুলো জানায়।জানা যায়, খুব শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটির ব্যাপারে চূড়ান্ত একটি দিক-নির্দেশনা দেয়া হবে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে। সে পর্যন্ত লন্ডনেই অবস্থান করবেন ওই তিন নেতা।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপে-এমন মন্তব্য করেন নিউইয়র্কে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, বিএনপির চরম দুর্দিনে যারা কাজ করেছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে কমিটির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে। নয়া কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন-এমন নেতাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে। এদের অন্যতম হলেন আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, সোলায়মান শেরনিয়াবাদ, গিয়াস আহমেদ, হযরত আলী, মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, মোাম্মদ উল্লাহ মামুন, জিল্লুর রহমান, আকতার হোসেন বাদল, বাকির আযাদ, এম এ বাতিন, গোলাম ফারুক শাহীন, রাফেল তালুকদার, মাওলানা অলিউল্লাহ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, আতাউর রহমান আতা প্রমুখ।---ডিনিউজ
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটি গঠনের লক্ষ্যে লন্ডনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বিতীয় দফা বৈঠক ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ই তারেক রহমান এসব কথা বলেন।তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন যে, সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ৩ কর্মকর্তা এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি ঐ বৈঠকে অংশ নেন।
তারেক রহমানের ডাকে ২৯ আগস্ট রাতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লন্ডনে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শরাফত হোসেন বাবু (তারেক রহমানের স্ত্রীর খালাতো ভাই) ২৪ আগস্ট নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন থেকে হাওয়া ভবনের কঠোর সমালোচনা করেন এবং ঘোষণা দেন যে, 'তারেক রহমানকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি হাওয়া ভবনের বিতর্কিতদের সাথে থাকবেন নাকি আমার মতো কর্মীদের সঙ্গে থাকবেন।' এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শরাফত হোসেন বাবু বিএনপির সংশ্রব ত্যাগের হুমকিও দেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মেয়াদ ৬ বছর আগে শেষ হয়েছে এবং শরাফত হোসেন বাবু, জিল্লুর রহমান জিল্লুর নেতৃত্বে বিএনপির ব্যানারে পাল্টা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর বেগম খালেদা জিয়া নিউইয়র্ক সফরকালে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। দীর্ঘ দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভেদ-বিভক্তির অবসানের দাবি রয়েছে নেতা-কর্মীর মধ্যে। সে দাবির পরিপূরক হিসেবে তারেক রহমান ডেকেছেন ঐ ৩ নেতাকে। সর্বশেষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটি গঠনের আলোচনা প্রাধান্য পায়। ইমিধ্যেই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি তালিকা তৈরী করেছেন তারেক রহমান। তাদের সমন্বয়েই গঠিত হতে পারে নয়া কমিটি। ঐ কমিটিতে শরাফত হোসেন বাবু এবং বেলাল মাহমুদ ছাড়া সকলেই স্থান পাবেন বলে লন্ডনের একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা এনাকে জানায়। তবে বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাটকে কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক অথবা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রধান উপদষ্টো করা হতে পারে। নয়া কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এমন সংগঠকদের ঠাঁই হতে পারে যারা বিএনপির জন্যে সময় দিতে পারবেন এবং মূলধারায় লবিংয়ের সামর্থ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১/১১ পরবর্তী সময়ে জেনারেল মইন এবং ড. ফখরুদ্দিনের সাথে গোপন সম্পর্ক রেখেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কার্যক্রমের সাথে একাত্ম প্রকাশ না করে পাল্টা কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ কর্মীদের বিভ্রান্ত করেছেন, জিয়া পরিবারের কঠোর সমালোচনা করে পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন-এমন লোকজনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন তারেক রহমান-সূত্রগুলো জানায়।জানা যায়, খুব শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নয়া কমিটির ব্যাপারে চূড়ান্ত একটি দিক-নির্দেশনা দেয়া হবে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে। সে পর্যন্ত লন্ডনেই অবস্থান করবেন ওই তিন নেতা।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে তারেক রহমানের সরাসরি হস্তক্ষেপে-এমন মন্তব্য করেন নিউইয়র্কে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, বিএনপির চরম দুর্দিনে যারা কাজ করেছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে কমিটির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে। নয়া কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন-এমন নেতাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে। এদের অন্যতম হলেন আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, সোলায়মান শেরনিয়াবাদ, গিয়াস আহমেদ, হযরত আলী, মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, মোাম্মদ উল্লাহ মামুন, জিল্লুর রহমান, আকতার হোসেন বাদল, বাকির আযাদ, এম এ বাতিন, গোলাম ফারুক শাহীন, রাফেল তালুকদার, মাওলানা অলিউল্লাহ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, আতাউর রহমান আতা প্রমুখ।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়