নিউইয়র্ক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপন ভিডিও করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তারই সফরসঙ্গী বাংলাদেশি এক নারী সাংবাদিক। নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর আগের দিনই প্রধানমন্ত্রীর 'ভাষণের প্যাকেট' নিয়ে তুলকালাম ঘটেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে 'গোপন ক্যামেরা'র খবরে বিব্রত এখন সফরসঙ্গী সাংবাদিকেরা।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সাথে থাকা বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন নারী সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করেছেন- এমন অভিযোগ উঠার পরই আলোচনা ডালপালা মেলে।
সূত্রটি আরো জানায়, পূর্বানুমতি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ওই নারী সাংবাদিক সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যান। তার সাথে শেখ হাসিনা অনানুষ্ঠানিক অনেক কথাবার্তাও বলেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক তার সাথে থাকা ভিডিও ক্যামেরাটি গোপনে চালু করে দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তারা তাতে বাধ সাধেন। কারণ ওই সাংবাদিক বক্তব্য গ্রহণ বা রেকর্ড করার অনুমতি নেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই নারী সাংবাদিকের ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হয়। ওই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীর সব অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তার রেকর্ড পাওয়া যায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তারা ওই নারী সাংবাদিকের ধারণ করা ভিডিও টেপটিও জব্দ করেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ সংবলিত একটি বাক্স (প্যাকেট) নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল এর আগের দিনই। বিস্ফোরক সন্দেহে জাতিসংঘের পাশেই অবস্থিত সেকেন্ড অ্যাভিনিউ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিকিউরিটি ফ্রিজিং জোন হিসেবে পরিচিত এলাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছুটে আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সেকেন্ড এভিনিউ ও ৪৩ স্ট্রিটে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সামনেই বৃহস্পতিবার এ ঘটনার সূত্রপাত। এসময় ছুটে আসে পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড, এফবিআই, এন্ট্রি টেরোরিজম টাস্ক ফোর্সের বিশেষ বাহিনী, দমকল, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড ও অ্যাম্বুলেন্স।---পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়