মহেশপুর(ঝিনাইদহ): ৫০ শয্যায় উন্নতি হলে কি হবে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। চলছে আগের মতোই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
অন্যদিকে যারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০/২৫ বছর বাধাহিন ভাবে চাকুরী করে যাচ্ছেন তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তারা কমপ্লেক্সটির ভিতরের বহুদিনের পুরাতন গাছ বিক্রিসহ অনেক কর্মকান্ডে জরিয়ে পরছে।
উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য ১ জন ডাক্তার। অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে আরো অসুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। ৫০ শয্যার জন্য আসা অনেক মুল্যবান যন্ত্রপাতি ডাক্তারের অভাবে হচ্ছে নষ্ট।
ভবন ও তৈরী করা হয়েছে ৫০ শয্যার। কিন্তু কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যার। সাড়ে ৩ লাখ মানুষের জন্য যেখানে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু সেখানে আছে নাম মাত্র কর্মকর্তাসহ ৪ জন ডাক্তার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা ডাক্তার তাহাজ্জেল হোসেন প্রশাসনিক কাজে সব সময় থাকেন ব্যস্ত। ফলে ৩ জন ডাক্তার রেেয়ছে বর্তমানে।
ডাক্তারের মধ্যে ১ জন ডাক্তার ২৪ ঘন্টা ইনডোর ও আউটডোর কাজ করে থাকেন। অন্য জন করেন পরের দিন। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে কোয়াক চিকিৎসকদের নিকট চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে। আবার অনেক রোগী ফিরছে আরো অসুস্থ অবস্থায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সুত্রে জানা গেছে, বহু দিনের এ চিকিৎসক সংকট ভয়াবহ আকার ধারন করায় এ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিমুখ হয়ে ক্লিনিক মুখি হচ্ছেন। তার পরও রয়েছে ডাক্তারদের রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার।
সুত্রটি আরো জানান, কিছু দিন পুর্বে দু’এক জন নতুন ডাক্তার আসলেও ১৫ থেকে ২০ দিন থাকার পরে তারা উপর মহলের তদবির করে আবার চলে যান।
মাত্র ৩ জন ডাক্তার প্রতিদিন ১ জন করে ইনডোর ও আউটডোরের রোগী দেখছেন। ফলে ২৪ ঘন্টায় ১ জন ডাক্তার দিয়ে এত বড় উপজেলা এলাকা কোন ভাবেই চালানো সম্ভব না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্য একটি সুত্রে জানাগেছে ১৯৮৩ সাল থেকে অনেকে বাধা হিন ভাবে চাকুরি করে আসছেন। যাদের কোন দিন অন্যত্র বদলিও হয়না। যার কারনে সেই সব ব্যাক্তিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরের বহুদিনের পুরাতন গাছ ছাটায়ের নামে গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে একের পর এক। তার পরও সেই সব কর্মকর্তারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান বীদ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যেখানে ডাক্তার,নার্সসহ ৮৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার কথা সেখানে কর্মকর্তা সহ ৪জন ডাক্তারসহ কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে ৬৬ জন।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার তাহাজ্জেল হোসেন জানান, ৫০ শয্যা উন্নতি করা হলেও চলছে ৩১ শয্যায়। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ২০ জন ডাক্তার, ১৫ জন নার্স থাকার কথা। কিন্তু সেখানে আছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সহ মাত্র ৪ জন ডাক্তার।। ফলে ৩ জন ডাক্তার দিয়ে চালানো হচ্ছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। শুধু তাই না ঔষধ সরবরাহ পর্যন্ত করা হচ্ছে ৩১ শয্যার।
তিনি আরো জানান,এখানে ৩/৪ জন ডাক্তার আসলেই ৫০ শয্যার বেড গুলো চালু করা যাবে। তা না হলে সম্ভব হবেনা। ---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়