ঢাকা : স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল যোধপুরের পুলিশ। এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত এই জনপ্রিয় ধর্মগুরুকে গতকাল রাতে তাঁর আশ্রম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আশারামকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে। আদালতের বাইরে আজ বড় সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আশারামকে ধরে উপযুক্ত কাজ করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক মদত ও সামাজিক প্রভাবের জোরেই আশারামকে ছুঁতে পারছিল না কেউ। যোধপুর জেলর পুলিশসুপার রাকেশ মোহন নয়া কয়েদি সম্পর্কে জানিয়েছেন, আশারামকে জেলের ভিতর উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই রাখা হয়েছে। তাকে যে 'কিট' দেওয়া হয়েছে তাতে রয়েছে একটি বেডশিট, একটি তোষক, কম্বল, মগ ও খাবারের প্লেট। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর নিয়মিত চেক আপ করবেন জেলের ডাক্তাররা। তবে যতই ভিআইপি হোন না কেন, আশারামের সঙ্গে একজন কয়েদির মতোই ব্যবহার করা হবে। তিনি কোনও বাড়তি সুবিধে ও বাইরের খাবার পাবেন না।
প্রসঙ্গত, ১৬ বছরের একটি মেয়ে ২০ অগস্ট অভিযোগ করে, গত ১৫ অগস্ট আশারাম বাপু তাঁর যোধপুরের আশ্রমে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে আশারামের ছেলে জানান, ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে ঘটনার প্রতিকারের দাবিতে সরব হয় মহিলাও সামাজিক সংগঠনগুলি। এরপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে আশারামের স্নায়ুর লড়াই। শনিবার মাঝরাতে আশারামকে তাঁর আশ্রম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্বহিন্দু পরিষদ গ্রেফতারির তীব্র নিন্দে করে জানিয়েছে, আসারামের গ্রেফতারি হিন্দু ধর্মের উপর পরিকল্পিত আঘাত। এটা একটা বড় চক্রান্ত। আশারামের সমর্থনে বজরং দল ও পরিষদ পথে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও বিজেপি এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অন্যদিকে, আশারামের দাবি, সনিয়া ও রাহুল তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছেন। এর পিছনে রাজ্য রাজনীতির বড় খেলা রয়েছে।---ডিনিউজ
প্রসঙ্গত, ১৬ বছরের একটি মেয়ে ২০ অগস্ট অভিযোগ করে, গত ১৫ অগস্ট আশারাম বাপু তাঁর যোধপুরের আশ্রমে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে আশারামের ছেলে জানান, ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে ঘটনার প্রতিকারের দাবিতে সরব হয় মহিলাও সামাজিক সংগঠনগুলি। এরপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে আশারামের স্নায়ুর লড়াই। শনিবার মাঝরাতে আশারামকে তাঁর আশ্রম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্বহিন্দু পরিষদ গ্রেফতারির তীব্র নিন্দে করে জানিয়েছে, আসারামের গ্রেফতারি হিন্দু ধর্মের উপর পরিকল্পিত আঘাত। এটা একটা বড় চক্রান্ত। আশারামের সমর্থনে বজরং দল ও পরিষদ পথে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও বিজেপি এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অন্যদিকে, আশারামের দাবি, সনিয়া ও রাহুল তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছেন। এর পিছনে রাজ্য রাজনীতির বড় খেলা রয়েছে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়