সকালের অঝোর বৃষ্টিতে রাজধানী অবরুদ্ধ হয়ে আছে যান ও জলজটে। স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী মানুষ রীতিমত নাকাল হয়ে পড়েছেন এ জটে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারা তো আছেই, আকাশ এবং রাস্তার জলে ভিজে একাকার হয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন রাস্তায় বেশ কিছু গাড়ি অচল হয়ে পড়লে যানজট হয়ে উঠে আরো তীব্র।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে হঠাৎ করেই ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। প্রায় সোয়া ঘণ্টার একটানা বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। স্কুলে যাওয়া এবং আসার পথে শিশুদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অভিভাবকরা। রাস্তায় রিকশা ছিল কম, দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া দিয়েও রিকশা পাওয়া যাচ্ছিল না।
ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর রাস্তার মুখে অচল হয়ে পড়া একটি গাড়ির কারণে ধানমণ্ডি, লালমাটিয়া ও আশপাশের এলাকায় পথচলতি মানুষ বেশ দুর্ভোগে পড়ে। শুধু তাই নয়, মালিবাগ, মৌচাক, রাজারবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা, মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল ও অফিসগামী মানুষেরা।
বাসযাত্রীরা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকা আর ঢাকা নেই। ভারি যানচলাচলের জন্য অচল হয়ে গেছে রাস্তাগুলো।
কাকরাইলে অফিসগামী শাহীন আহমেদ বলেন, "রাস্তায় হাটু পর্যন্ত পানি। প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টিতে রাজধানীর নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায়। এসবের ভুক্তভোগী আমরা সাধারন মানুষরা। অথচ এসব পরিত্রানের কোনো পদক্ষেপ নাই।"
মালিবাগে অফিসগামী লিপি রহমান বলেন, "মেয়েদের জন্য চলাফেরাটা এমনিতেই একটু কষ্টকর। এরমধ্যে বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় আমরা আরো অসহায় হয়ে পড়েছি। রিকসা ভাড়াও দ্বিগুন চাচ্ছে। একঘণ্টা ধরে এখানেই দাড়িয়ে আছি।"
রিকসা চালক আলতাফ বলেন, "আমরা গরীব মানুষ। রিকসা চালাইয়া খাইতে হয়। কিন্তু এই রাস্তায় রিকসা চালাতে অনেক কষ্ট হয়।"
সিএনজি চালক কামাল মিয়া বলেন, "কোমর সমাইন্না পানি, এট্টুনি বৃষ্টি অইলইে সব ডুইবা যায়। এম্নে পেসেঞ্জার পাওন যায় না। পাইলেও ভাড়ায় পোষায় না।"
সামান্য বৃষ্টি হলেই মহানগরীতে যানজটের সমস্যাও তুলে ধরেন তিনি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এ পযর্ন্ত ঢাকায় ৩১ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চাঁদপুরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮ মি.মি। বছরের এ সময়টাই 'হঠাৎ বৃষ্টি'র দেশের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এ মৌসুমের বৃষ্টি কৃষির জন্যও ব্শে উপকারী।--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়