পাইকগাছা (খুলনা): খুলনার পাইকগাছায় এক মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মুক্তিযোদ্ধাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লস্কর গ্রামের মৃত আছরোপ সরদারের পুত্র সফিদুর রহমান সরদার (ছবেদ) মুক্তিযুদ্ধকালে সেনাবহিনীতে চাকুরি করার সুবাদে সেনাবাহিনী থেকে একটি পিস্তল নিয়ে পালিয়ে আসে। পরবর্তিতে সফিদুর ঐ পিস্তল দেখিয়ে যুদ্ধকালে নিজ গ্রামের বিশ্বনাথ সরদার, জোগেন্দ্র নাথ ঢালী, ফুলচাঁদ সরদার, খালিয়ার নুনেপাড়া গ্রামের অমুল্য মন্ডল, ছালুবুনিয়ার নকুল ঢালীসহ একাধিক হিন্দু পরিবারের সহায় সম্পদ লুটপাট করে। মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম সাহারাবুল ইসলাম ডিফারেন্ট নিউজকে জানান, ছবেদ’র বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে তার বাড়িতে তৎকালিন সময় একাধিকবার অভিযান চালালেও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।
এ দিকে যুদ্ধকালিন সময় এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক জানাজানি হলে এক পর্যায়ে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা মৃত আনোয়ার আলী সরদার ও মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী জোয়াদ্দারের সহায়তায় সফিদুর রহমানের পিস্তলটি স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করে সে যাত্রা রক্ষা পান বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে এক পর্যায়ে সফিদুর রহমান স্থানীয়দের সহায়তায় জীবন বাঁচাতে হাতিয়ারডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্পে আশ্রায় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। জানা গেছে দেশ স্বাধীনের পর সফিদুর রহমান সুবিধাবাজ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দায়িত্বশীল মুক্তিযোদ্ধাদের যোগসাজসে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অন্তভূক্ত করেন।
এবং সে সময় থেকে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মোঃ কোরবান আলী, আমজেদ গাজী সহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালিন সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা সফিদুরের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে প্রত্যাহার, সন্মানিভাতা বন্ধ ও সনদ বাতিলের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান ডিফারেন্ট নিউজকে জানান তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ডিফারেন্ট নিউজকে জানিয়েছেন অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়