Thursday, September 19

ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব চৌকিদার-দফাদারদের বেতন বাড়ছে

 ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং দফাদার-চৌকিদারদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সম্মানী-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবও সরকারের বিবেচনায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব, চৌকিদার, দফাদারদের পক্ষ থেকে সম্মানীভাতা, বেতন বাড়ানোর জন্য এক বছর আগেই আবেদন করা হয়। সরকার এতদিন তা বিবেচনায় নেয়নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে কি পরিমাণ সম্মানীভাতা, বেতন বাড়ানো যায়। এ জন্য অর্থের সংস্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই স্থানীয় সরকার সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মচারীরা তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। সরাসরি জনসম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের। গ্রামের সাধারণ মানুষদের ওপর তাদের প্রভাবও রয়েছে। সরকার তা কাজে লাগাতে চাইছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের দাবি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি খাত থেকে তাদের বেতন-ভাতা দেয়া। বাসাভাড়াসহ তারা মাসে বেতন পাচ্ছেন ১৪,২৫৫ টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে গণ্য করে বেতনের শতভাগ সরকারি খাত থেকে প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে ২৫ কোটি টাকা চেয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ডিও দিয়েছেন। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পরই সচিবদের বেতন শতভাগ সরকারি খাত থেকে দেয়া হবে। চৌকিদার, দফাদারদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি মানবিক কারণেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। একজন চৌকিদার মাসে ১১শ’ টাকা এবং দফাদার ১৩শ’ টাকা বেতন পান। তারা বেতনের ৭৫ শতাংশ পান সরকারি খাত থেকে। বাকিটা ইউনিয়ন পরিষদের দলিল রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত ১ শতাংশ অর্থ ও স্থানীয়ভাবে আরোপিত ট্যাক্স থেকে দেয়া হয়। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না হওয়ায় তাদের বেতনের স্থানীয় অংশ অনেক ক্ষেত্রেই অপরিশোধিত থেকে যায়। সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা তাদের জন্য দারুণ কষ্টকর। স্থানীয়ভাবে প্রদত্ত পঁচিশ শতাংশ বেতনও সরকারিভাবে দেয়ার জন্য চিন্তা করা হচ্ছে। এ জন্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ অর্থ চাওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রাপ্তিসাপেক্ষে চৌকিদার, দফাদারদের বেতন বাড়ানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া না গেলে অন্তত ১০ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা মাসিক ১৫শ’ টাকা করে সম্মানীভাতা পাচ্ছেন। এরও ৭৫ শতাংশ সরকারি খাত থেকে, ২৫ শতাংশ নিজস্বভাবে সংগৃহীত অর্থ থেকে পান। সব ইউনিয়ন পরিষদের আয় যথেষ্ট নয় বলে তাদের সম্মানীভাতা বাবদ প্রাপ্ত অর্থও বকেয়া থেকে যাচ্ছে। চেয়ারম্যানরা মন্ত্রণালয়ে দেয়া আবেদনে ভাতা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের উল্লেখ করেননি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাসে ১৫ হাজার টাকা সম্মানীভাতা দেয়া হয়। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের সম্মানীভাতা নির্ধারণ ও ইউপি সদস্যদের সম্মানীভাতাও আনুপাতিকহারে বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা সম্ভব নয় বলে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সম্মানীভাতা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ানোর কথা ভাবছে না স্থানীয় সরকার বিভাগ। কি পরিমাণে বাড়ানো হবে তা-ও স্থির করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে তাদের সম্মানীভাতাও কিছু বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।___অনির্বান নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়