Monday, September 30

রাজশাহী জেলা আ’লীগের সভাপতিকে মোহনপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা


রাজশাহী: রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজউদ্দিন মোল্লার সাথে দলের মোহনপুর উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে গত শনিবার বিকেলে মোহনপুর উপজেলার করিশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ও প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন শাহ’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওবাইদুল্ল¬াহ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, বাকশিমইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন, মৌগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সবুর মাস্টার, জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী, বাকশিমইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল। 
ওই সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলেন, এমপি মেরাজউদ্দিন  মোল্লা গত ২৪ সেপ্টেম্বর ধোপাঘাটা ও করিশা এলাকায় স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের না জানিয়ে অসাংগঠনিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় এসে আওয়ামী লীগে ভাঙ্গন ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তিনি ওইদিন দলীয় ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। 
তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, এমপি মেরাজউদ্দিন মোল্লা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোহনপুর উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে একদিনও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনায় বসেন। কিন্তু এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নিজস্ব বাহিনী নিয়ে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে আসেন। মেরাজ মোল্লার এই আচরণ দলের নেতাকর্মীরা মেনে  নেবেন না বলে সভায় জানানো হয়। 
এদিকে, সোমবার এমপি মেরাজ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে কী অবাঞ্ছিত করবে? আমার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য  তো স্থানীয় ছেলেরা ওদেরই পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। গত নির্বাচনেও আমার মনোনয়ন বাতিলের জন্য দলের সভানেত্রীর কাছে তারা গিয়েছিল। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরও ওরা আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম দুইবার আর সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদ পৌর নির্বাচনে ফেল করেছে। ওরা সব ফেল করা পাটি। কাজেই ওদের সঙ্গে কী করে সম্পর্ক রাখবো।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়